পিএনএস ডেস্ক: সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন আইনে বর্তমান ও আগের নির্বাচন কমিশনকে ইনডেমনিটি দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি দেয় না, এটা জানা উচিত। এখানে কাউকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি।
সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদে উত্থাপিত ইসি গঠন বিলে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতোপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।’
২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াই আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। প্রস্তাবিত এই আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যতা-অযোগ্যতাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ইসি গঠন বিল সম্পর্কে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনে দুটো জিনিস আছে। একটা ইনডেমনিটি, আর একটা লিগ্যাল কাভারেজ। দুটো এক নয়। ইনডেমনিটি হচ্ছে মাফ করে দেওয়া, আইনের আওতা থেকে বের করে দেওয়া। লিগ্যাল কাভারেজ হচ্ছে আইনের ভেতরে আনা। দফা ৯-এ পরিষ্কার পড়ে দেখেন, কারও কৃতকর্মকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি। এই আইন করার ক্ষেত্রে সরকার তড়িঘড়ি করেনি বা গোপনীয়তা ছিল না।
তিনি বলেন, ‘যখনই আইনটি কেবিনেটে পাস হয়েছে তাৎক্ষণিক ল’ লেজিসলেটিভ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আর এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আমি তো বুঝলাম না এখানে গোপনীয়তা কোথায়। আইনটা গোপন করে আমার কী লাভ?’
বহুল আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
সোমবার বিলটি নিয়ে আলোচনা শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে সংসদীয় কমিটি। সেখানে দুটি বিষয়ে পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে তারা।
পিএনএস/এএ
নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি: আইনমন্ত্রী
24-01-2022 10:09PM