গোপনে বাংলাদেশি বিলিয়নিয়াররা: সম্পদের পাহাড় এবং চরম বৈষম্য

  13-06-2024 03:06PM


পিএনএস ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকায় ‘থ্রি’ নামে একটি বিলাসবহুল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই আবাসিক কমপ্লেক্স রাজধানীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবন, যা দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যকে তুলে ধরে। গুলশান ক্লাব থেকে দূরে এবং শান্ত গুলশান লেকের কোল ঘেঁষে এই ১৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন ভবনটির নির্মাণ কর্মীরা।

‘থ্রি’ নামে পরিচিত এই ভবনটি অভিজাত বাংলাদেশি রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি বিটিআই দ্বারা নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এটি নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়ায় নির্মিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল আবাসিক ভবন।

সর্বাধিক জিপ কোড থাকার পাশাপাশি এই বিল্ডিংটিতে আছে ১২টি অ্যাপার্টমেন্ট। প্রতিটি ৭০০০ বর্গ ফুটেরও বেশি। বায়োমেট্রিক সুরক্ষা, এলিভেটর, এআইভিত্তিক আলোর ব্যবস্থাসহ সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই ভবনটিতে।

নির্মাণ শুরু হওয়ার আগেই সমস্ত অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করা হয়ে গিয়েছে, এমনকি ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০০ মিলিয়ন বা ২.৫ মিলিয়ন ডলারের মূল্য ট্যাগ দিয়েও টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে, অ্যাপার্টমেন্টের দাম ১.৮ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

বিটিআই চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান খানও ভবনটিতে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রায় ৫০টিরও বেশি আবেদন থেকে অন্যান্য সম্ভাব্য মালিকদের সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করা হচ্ছে, প্রধানত সিংহভাগই শহরের ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নিষ্পত্তিযোগ্য আয় কারও অজানা নয়। জনাকীর্ণ শপিং মল যেমন যমুনা ফিউচার পার্ক দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম। প্যাকেটজাত খাবার থেকে শুরু করে গাড়ি এবং স্মার্টফোন পর্যন্ত সমস্ত কিছুর বিজ্ঞাপন দেওয়া নতুন বিলবোর্ডগুলি তার প্রমাণ। কিন্তু এই বিটিআই ভবন যেন আরও একটু অন্য রকম যা বাংলাদেশের ধনীদের ক্রমবর্ধমান সম্পদের কথা বলে।

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি) সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, যখন দেশের মধ্য-আয়ের এবং ধনী ভোক্তা (ম্যাক) শ্রেণি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এবং তা ২০২৫ সালের মধ্যে জনসংখ্যার ১৭ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তখন দেশের সম্পদের বৈষম্য একইসঙ্গে গভীর হচ্ছে। সূত্র: আলজাজিরা


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন