১৫ ও ২১ আগস্টের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়

  01-08-2021 03:18PM

পিএনএস ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না।

রোববার নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ায় তাদের গাত্রদাহ। তারা চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর। আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধু কন্যার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসার পর তাকে প্রায় ২০বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। যারা খুনের কুশীলব ছিল, তাদের অপমৃত্যু হয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি। ক্ষমা করেও না। এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিল, যারা ছিল বেনিফিশিয়ারি, তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পন্ন হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিন নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অনুরোধে আজ থেকে রফতানিমুখি শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার। ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে প্রথমে কারখানা চালু করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার নোটিশ দেয়। এতে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে মানুষের রাজধানীমুখি যে স্রোত, তাতে সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে।

আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, চলমান করোনা সংকটে অসহায়, দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়ালেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন এবং তার আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল ১৫ আগস্ট। নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই। জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি। টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তার সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি। তারা পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন