ফরিদপুরে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র পরিচয়ে ১৮ বিএনপি নেতা

  03-12-2021 07:48PM

পিএনএস ডেস্ক: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র পরিচয়ে মাঠে নেমেছেন দলটির প্রার্থীরা। উপজেলায় ১০ ইউপিতে বিএনপির ১৮ নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন বর্তমান চেয়ারম্যানও রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আতিয়ার রহমান মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান একেএম হামিদুল বারী ওরফে বরুন মিয়া ও বিএনপির সমর্থক মো. মিজানুর রহমান।

গুণবহা ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম এবং তার আপন ছোট ভাই উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য মো. আবুল বাশার বিপব।

সাতৈর ইউপিতে সর্বাধিক চার প্রার্থী হলেন-সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ওরফে লাল মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মো. জাকির হোসেন ওরফে টিআই ও মো. রাফিউল আলম মিন্টু।

দাদপুরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আবুল কাশেম কাজী ও উপজেলা বিএনপির তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মো. জালাল উদ্দীন মোল্লা; চতুলে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. কামরুল ইসলাম উজ্জল ও ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মো. ফিরোজ মোল্লা; পরমেশ্বরদীতে উপজেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমিনুর রহমান; শেখরে উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রইসুল ইসলাম পলাশ; ময়নায় উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. মশিউল আজম মৃধা এবং উপজেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম আশরাফুল আলম চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবর রহমান বাবু উল্লেখিত ১৮ প্রার্থীর দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গুণবহা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের ঘরে এখন বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। উপজেলার ১০ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানেরা দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা অধিকাংশই প্রভাবশালী। আওয়ামী লীগের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব আর বিএনপির প্রতি ভোটারদের আগ্রহের কারণে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আমাদের প্রার্থীরা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।

পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের কারণে মানুষ দীর্ঘকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোট ঠিকমতো দিতে পারেনি। দলটির প্রতি ভোটারদের এই ক্ষোভ ও নিজেদের কোন্দলের কারণে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর -১ আসনের সাবেক সাংসদ শাহ মো. আবু জাফর বলেন, ইউপি নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জনগোষ্ঠী সম্পৃক্ত থাকে। তাই এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসন পেশি ও লাঠির শক্তি দেখাতে চাইলে সংঘাত ও প্রাণহানি বাড়বে। আর প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে উৎসবমুখর ভোট হবে। নির্বাচনে স্বাভাবিক প্রচার-প্রচারণার সুযোগ থাকলে উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা ভালো ফল করবে।

পিএনএস/আইএইচ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন