‘ইসি গঠন নিয়ে আরেকটি নাটক শুরু করেছে সরকার’

  22-01-2022 02:43PM



পিএনএস ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‌‘আজকে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকার যে আইন করছে তা জাতির সঙ্গে আরেকটি নাটক। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি কখনো কোনো নির্বাচনে যাবে না। কেননা আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। সুতরাং এসব সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন।’

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেডআরএফ।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী মাহবুব আলমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, জেডআরএফের অধ্যাপক. আবুল হাসনাত মো. শামীম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, কৃষিবিদ ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, ডা. মো. মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, প্রকৌশলী সুমায়েল মো. মল্লিক, এ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের মনিটর অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রকৌশলী কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নু, মিসেস শামীমা রাহিম, সর্দার মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, দবির উদ্দিন তুষার, শফিকুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আমান উল্লাহ আমান, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচি, এ এস এম রাকিবুল ইসলাম আকাশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সকল সেক্টরে অবদান রেখেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার জন্মবার্ষিকীতে জেডআরএফের আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। আমি বলব- দেশের বিশেষ দুটি দিন। একটি ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে উই রিভোল্ট বলে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তৎকালীন সেনাবাহিনীর তরুণ মেজর জিয়াউর রহমান। আজকে অনেকেই জিয়াউর রহমানকে হিংসা করেন। তার নাম মুছে ফেলার জন্য এমন কোনো কাজ নেই তারা করছেন না। যারা জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করেন না, তারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না। অন্যরা তো তখন ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। কেউ ইচ্ছা করলে ইতিহাস মুছে দিতে পারে না।’

‘আরেকটি ঘটনা হলো ৭ নভেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ধ্বংস করেছিল। কথা বলার স্বাধীনতা বন্ধ করেছিল। রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষ হত্যা করে প্রথম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল। তখন ক্যু আর পাল্টা ক্যু হচ্ছিল। তখন ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লব যে সংঘটিত হলো সেটা হলো ইতিহাসের আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট। তখন দেশের ক্ষমতার পাদপ্রদীপে আবির্ভূত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুদ্ধার করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন। সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে লুটপাট চলছিল। শহীদ জিয়া দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে আর বিএনপি তা বারবার পুনরুদ্ধার করেছে। এগুলো ইতিহাস। চাইলেই মুছে ফেলা যাবে না। তেমনি আজকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী,’- বলেন তিনি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন