বিএনপি লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি কার্যকর করেছে: কাদের

  08-12-2022 01:30PM


পিএনএস ডেস্ক: বিএনপি বিশৃঙ্খলার উসকানি দিচ্ছে এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে ভাঙচুর শুরু হয়ে গেছে, পুলিশ মারা শুরু হয়ে গেছে। মানুষ আতঙ্কে আছে।

বৃহস্পতিবার ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সকল সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে। জঙ্গীবাদী শক্তিকে মাঠে নামিয়েছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি কার্যকর করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
কাদের বলেন, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা তাদের ভয়ের কারণ। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নাশকতার উসকানি দিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের চোরাগলি পথ দিয়ে সরকার হঠানোর চেষ্ঠা করছে।
তিনি বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি। দেশ সাম্প্রদায়িক, জঙ্গীবাদী শক্তির হাতে তুলে দিতে পারি না। এটাই আমাদের শপথ। এই শপথ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, অকারণে নিজেরা আক্রমণকারী হতে যাবেন না। হুট করে উত্তেজিত হবেন না। আমাদের যাতে বদনাম না হয়, কোনো দুর্নাম না হয়। ঠান্ডা মাথায় মোকাবেলা করতে হবে। শুরু তারা করেছে, আমরাও দেখবো।

মিডিয়া কেন পক্ষাবলম্বন করছে: ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বলেছি মিডিয়ার কাছে আমরা অতিরিক্ত চাই না, ডিউ চাই। তাই বলে সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে সেই নিউজও আসবে না। আমাদের সাথে এই দুর্বব্যবহার কেন করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটি অংশ কেন একটি পক্ষ নিচ্ছে। কেন পক্ষাবলম্বন করছে? এটা আমার অভিযোগ।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে এতো বিশাল সমাবেশ হলো। পত্রিকার প্রথম পাতায় কার্পণ্য হয়, শেষ পাতায়ও কার্পণ্যতা দেখা যায়। কি অপরাধ আমাদের? শেখ হাসিনা দেশের জন্য এতো কিছু করলেন। সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বিস্ময়কর উন্নয়নের এই প্রতিদান।

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই নিরপেক্ষ বস্তনিষ্ঠতার কথা বলেন। পাবলিকের ট্যাক্সের টাকায় কেনা দোতলা বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। কোনো মিডিয়া নিউজ দিয়েছে। সেই ছবি কেউ দিলেন না। কেউ কেউ বিকৃত করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। দেখেও দেখে না। কিন্তু মিডিয়া যা দেখবে তাই তারা লিখবে। এটা প্রত্যাশা করি। বিষদগার করছি না। সত্যকে তুলে ধরার আহবান জানাচ্ছি।
আমরা গণমাধ্যমের শত্রু নয়, বন্ধু। যদি ভিন্ন কিছু করি সমালোচনা করবে- বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এডভোকেট আফজাল হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকশৌলী আবদুস সবুর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম সহকেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এছাড়া এই যৌথ সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি আবু হানিফ মন্নাফি, মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সভায় সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন