পিএনএস ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮তম বছর পূর্ণ করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকেই সমর্থকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি।
তার লড়াকু চরিত্র ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব বাংলাদেশের ক্রিকেটকে করেছে ঋদ্ধ। হাঁটুতে সাতবার অস্ত্রোপচার করিয়েও সবার প্রিয় সেই মানুষটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিলেন দেড় যুগ।
২০০১ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল মাশরাফির।
শুক্রবার সেই পথ চলার ১৮ বছর পূর্ণ হল। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮ বছর পার করলেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি মাশরাফি। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেও এখনও খেলছেন ওয়ানডে। এই ফরম্যাটেও হয়তো খুব বেশিদিন দেখা যাবে না তাকে। তবে মাশরাফির কীর্তিই তাকে অমর করে রাখবে।
খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপ, নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটিতে। তার নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের (২০১৫) কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ, উঠেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালেও। পরিসংখ্যানের হিসাবে মাশরাফিই বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক। বোলার হিসেবেও কম যাননি মাশরাফি।
দেশের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৩৬ টেস্ট, ৫৪ টি ২০ ও ২১৭টি ওয়ানডে। ইনজুরির কারণে টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে ৩৬ টেস্টে শিকার করেছেন ৭৮টি উইকেট, যা এখনও বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া ব্যাট হাতেও করেছেন ৭৯৭ রান।
ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি উইকেট নেই আর কোনো বাংলাদেশি বোলারের। দেশের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগারসহ ওয়ানডেতে মাশরাফির শিকার ২৬৬টি উইকেট। ব্যাট হাতে করেছেন ১৭৮৬ রান। এছাড়া টি ২০তে খেলা ৫৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৪২ উইকেট, ব্যাট হাতে করেছেন ৩৭৭ রান।
পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম
মাশরাফির ১৮ বছর
09-11-2019 01:30AM