সান্ত্বনার জয় পেলো টাইগাররা

  10-08-2022 08:01PM

পিএনএস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১০৫ রানে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি সান্ত্বনার জয় পেলো টাইগাররা। ২৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৫১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

ইনিংসের প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদের গতির শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। তিনি ৫ বলে শূন্য রানে ফেরেন। আগের ম্যাচেও প্রথম ওভারে এই কাইতানোকে আউট করেন হাসান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে শেষ বলে জিম্বাবুয়ের অন্য ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে সাজঘরে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। চার বলে ১ রান করে ফেরেন মারুমানি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে অভিষেক হয় পেসার এবাদত হোসেনের। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান খরচ করেন তিনি। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৩ রানের খরচায় এবাদত শিকার করেন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজার উইকেট।

এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ইনোসেন্ট কায়া। তিনি ২২ বলে ১০ রানে ফেরেন। তাইজুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন টনি মুনিয়োঙ্গা (১৩)।

পরে মোস্তাফিজ জিম্বাবুয়ে শিবিরে পরপর চারটি আঘাত হানেন। ২১তম ওভাবে আনামুল বিজয়ের ক্যাচ বানিয়ে লুক জঙ্গওয়েকে ফিরিয়ে তিনি প্রথম শিকার ধরেন। ২৩তম ওভারে ফেরান ক্লিভ মাদান্দেকে। ক্লিভ করেন ৪৫ বলে ২৪ রান।

মোস্তাফিজ নিজের তৃতীয় উইকেট হিসেবে শিকার করেন ব্রাড ইভান্সকে। মাত্র দুই রানে মেরাজকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন তিনি। শেষ উইকেটটিও পান তিনি। নিয়োচিকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। ফেরার আগে তিনি করেন ৩১ বলে ২৬ রান। অপর প্রান্তে ২৭ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন নাগারাভা। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে শেষ জুটিটি অবশ্য বাংলাদেশকে বেশ কিছুক্ষণ ভুগিয়েছে। শেষ জুটিতে জিম্বাবুয়ের রান আসে অর্ধশতের ওপরে।

এর আগে আগের দুই ম্যাচের মতো সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও টসে হারে বাংলাদেশ। তাই জিম্বাবুয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগে ব্যাট করতে নামতে হয় টাইগারদের।

দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় মিলে ইনিংসের প্রথম ৮ ওভার থেকে ৪০ রান তুললেও এরপরই শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। ৪১ থেকে ৪৭, এই ৭ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান তামিম (১৯), নাজমুল হোসেন শান্ত (০) এবং মুশফিকুর রহিমকে (০) হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।

এক প্রান্তে আসা-যাওয়া চলতে থাকলেও অন্য প্রান্তে বিজয় ছিলেন অবিচল। ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ড সংখ্যক রান করে দলে সুযোগ পাওয়া বিজয় ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেছিলেন। রিয়াদ ধীরগতিতে ব্যাট চালালেও বিজয় খেলছিলেন সময়ের দাবি মিটিয়ে। ৪৮ বলে তুলে নিয়েছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক। তবে বেশি চালিয়ে খেলতেই শেষতক উইকেট খোয়াতে হয়েছে তাকে। ইনিংসের ২৫তম ওভারে লুক জংওয়ের আউটসাইড অফের বল থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হয়ে ফিরেছেন তিনি। ফেরার আগে ৬ চার এবং ৪ ছয় সহযোগে ৭১ বলে ৭৬ রান করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেনের ৮১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। আজও এই দুজন চেষ্টা করেছিলেন, এদিন পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। তবে ইনিংসের ৩৫তম ওভারে দলীয় ১৭৩ রানে মাহমুদউল্লাহ রিচার্ড এনগারাভার বল স্টাম্পে টেনে এনে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৬৯ বলে ৩ চারের সাহায্যে ৩৯ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেননি সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৪ বলে ১৪ রান করে এই অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে অন্য প্রান্তে আফিফ হোসেন ততক্ষণে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। শেষদিকে তার ৮১ বলে ৮৫ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করেই সম্মানজনক সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

পিএনএস/এমবিবি

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন