নাসার মহাকাশ স্টেশনকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার পরিকল্পনা

  06-02-2022 06:46PM

পিএনএস ডেস্ক: ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকাহত ভারতসহ গোটা বিশ্বের সঙ্গীতাঙ্গন। সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণের খবরে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এছাড়াও ঘোষণা করা হয়েছে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। কেন্দ্রীয় সরকারের বরাতে এই খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

৯২ বছর বয়সী কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যুর খবরে টুইটারে মোদি লিখেছেন, “এই শোকের কথা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমাদের মাঝে যে শূন্যতা তিনি রেখে গেলেন তা পূরণ করা যাবে না। ভবিষ্যত প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির কিংবদন্তী হিসেবে মনে রাখবে। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল।” আগামী দুইদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একইসঙ্গে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে কিংবদন্তি এই গায়িকার শেষকৃত্য।

এসময় মোদি আরও জানান লতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকাহত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, ‘কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার প্রয়াণে আমরা রিক্ত হলাম। তার প্রয়াণে সংগীতজগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি লতা মঙ্গেশকরের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরকে। প্রথম থেকেই তাকে রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রোববার সকালে মধ্য হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন উপমহাদেশের সংগীতের এই প্রবীণ মহাতারকা।আগামী এক দশকের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)। তাই সেখানে কর্মরত নভোচারীদের তার আগেই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নিয়ন্ত্রক মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

সিএনএন দাবি করছে, পুরোনো হয়ে যাবার কারণে মহাকাশ স্টেশনের দেহে অসংখ্য ফাটল দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া পৃথিবীর কক্ষপথে জমা হওয়া নানা মহাকাশ বর্জ্যের (স্পেস ডেব্রি বা স্পেস জাঙ্ক) কারণে মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকারী নভোচরদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০৩১ সালে মহাকাশ স্টেশনটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা।

ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশনের অবস্থান। ভরশূন্য অবস্থায় সেটি ১৯৯৮ সাল থেকে দিন-রাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা অন্তর এক বার করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।

স্টেশনটি বন্ধ করার পর সেটিকে আর পৃথিবীর কক্ষপথে রাখতে চায় না নাসা। কারণ সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে মহাকাশ বর্জ্যের পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভবিষ্যতে মহাকাশযান এবং নভোচরদের বিপদের আশঙ্কা সে ক্ষেত্রে আরও বাড়বে। তাই মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বের করে প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডুবিয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছরই কয়েক কোটি ডলার খরচ হয় নাসার। আমেরিকার করদাতাদের ভার কিছুটা কমাতে শেষ কয়েক বছর গবেষণার পাশাপাশি মহাকাশ স্টেশনটি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারেরও পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। এছাড়া মহাকাশে পর্যটন শিল্প এবং ফিল্ম স্টুডিয়ো গড়ে তোলার প্রস্তাবও রয়েছে তাদের কাছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে নাসা জানিয়েছিল, মহাকাশ স্টেশনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য তিনটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাদের।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে রাশিয়া পৃথিবীর কক্ষপথে ভাসমান বাতিল গোয়েন্দা উপগ্রহ ‘কসমস-১৪০৮’-কে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে থাকা কসমসের ভাঙা টুকরোগুলোর কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন