পিএনএস ডেস্ক: ভারতের চন্দ্রযান ও রোভারের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ঐতিহাসিক অবতরণের পর সেখানকার রাত্রিকালীন হিমশীতল তাপমাত্রায় এটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এই মাসের শুরুর দিকে একে ‘ঘুমন্ত’ মোডে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরপর এটি আর ‘জাগছে না’।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি। বিক্রম ও প্রজ্ঞান ছিল ভারতের অগ্রণী চন্দ্রযান-৩ অভিযানের অংশ।
চলতি বছরের ২৩ আগস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণের পর রোভার চন্দ্রপৃষ্টে ১০ দিন ধরে ১০০ মিটারের বেশি জায়গা ঘুরেছে এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার এক চন্দ্রযান একই ধরনের অভিযানে গিয়ে ভেঙে পড়ার পাঁচ দিন পরে ভারতীয় চন্দ্রযান সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামে।
ইসরোর দেওয়া ‘চাঁদের অজানাকে জানার’ কাজ নিয়ে এই মহাকাশযান পৃথিবীতে বহু ছবি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য পাঠিয়েছে এবং সেই সঙ্গে চাঁদে সালফার, লোহা, টাইটানিয়াম ও অক্সিজেনের উপস্থিতিকে নিশ্চিত করেছে।
২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্যাস্তের আগে ইসরোর বিজ্ঞানীরা রোভারকে শীতঘুমে পাঠাতে ও চাঁদের নৈশকালীন প্রবল শীতের হাত থেকে মহাকাশযানকে রক্ষা করতে ‘স্লিপ মোড’ চালু করেন। ল্যান্ডারকে ঘুম পাড়ানো হয় ৪ সেপ্টেম্বরে।
ল্যান্ডার ও রোভারকে ঘুমন্ত মোডে পাঠানোর পর ইসরো এক বিবৃতিতে বলে যে, রোভার তার প্রথম কর্মভার শেষ করেছে যা ছিল চন্দ্রযান-৩-এর প্রাথমিক লক্ষ্য। বিজ্ঞানীরা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, রাত্রিকালীন চাঁদের চরম আবহাওয়ায় এই মহাকাশযান টিকে থাকবে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।
পিএনএস/এসএস
বিক্রম ও প্রজ্ঞানের সচল হওয়ার আশা কমছে
29-09-2023 06:06PM