পিএনএস, ডিমলা(নীলফামারীর) প্রতিনিধি : উত্তর জনপদের বৃহত্তর তিস্তা নদী। যার ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে ভারতের গজল ডোবা।বর্ষা মৌসুমে গজল ডোবার উদর বেসামাল হয়ে পরলে তখন পানি নিসকাসানের জন্য ব্যবহার করে তিস্তাকে।এদিকে খোর স্রতা তিস্তা ফুলে ফেঁপে উঠে প্রতিনিয়ত কেরে নিচ্ছে বাড়ি,ঘর, জমি ও ফসলি আবাদ। যার ফলে সকালে যার ছিল অনেক কিছু, বিকালে সে হয়েগেছে ফকির ও নিঃস্ব।
১ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেলার ডিমলা উপজেলার ৮ নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড কেল্লা পাড়া ও ভেন্ডাবাড়ী মৌজার প্রায় ৬শত পরিবার ৩দিন ধরে পানি বন্দি। তাদের বাড়ী ঘরে, রাতে পানি ঢুকে সকালে বেরুয়।এমনটা জানালেন ভুক্তভোগী বানাসা,ছলিমা বেগম,মমতাজ উদ্দিন,হছর উদ্দিন,আছিয়া খাতুন,মমিনুর রহমান প্রমূখ।
এময় তারাও বলেন, আমরা সরকারের কাছে ভাত চাই না, কাপড় চাইনা,আমরা নদীর বাঁধ চাই।এই বাঁধ হবে হবে বলে বুক বেঁধে বসে আছি, হবে যে কবে তা বলতে পারিনা। বর্তমানের আমাদের সহায় সম্বল নদী যেভাবে কেড়ে নিচ্ছে তাতে ভিক্ষা ছারা বেঁচে থাকার উপায় নেই।আজ তিন দিন হয়ে যাচ্ছে পানিতে রয়েছি,এতে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট হচ্ছে,কখনযে পানি বাহিত রোগ দেখা দিবে বলতে পারিনা। অনেকের ঘরে খাবারও সংকট দেখা দিচ্ছে।
এ ব্যপারে চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন নিয়তি হয়তো আমাদের থেকে বিমুখ।বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা দেয়া কথা তা কবে কার্যকরী হবে জানিনা, তবে যেভাবে নদী দৈনন্দিন কেরে নিচ্ছে ফসলি জমি বসত বাড়ী ততদিনে হয়তো আমার ইউনিয়নের কেল্লাপাড়া ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ী এলাকার শতশত পরিবার পথে নামবে ও নেমেছে। ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন বর্তমানে মৌজা দুইটির লোকদের মধ্যে সম্প্রতি নদী চরম সংকটে তাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বড়ই প্রয়োজন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী পানি পানি বন্দী এলাকা ও মুজিব শতবর্ষ ঘর পরিদর্শন শেষে খাদ্য সামগ্রী দেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেল উপ সহকারী প্রকৌশী(ত্রাণ) ফেরদৌস আলম।
পিএনএস/এসআইআর
ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি
01-08-2021 07:44PM