ভাড়া না দেয়ায় ৪ শিশুকে চলন্ত লঞ্চ থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ

  13-09-2021 12:00AM

পিএনএস ডেস্ক: অভাবের তাড়নায় লঞ্চে পানি বিক্রি করে ওরা। দিনশেষে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয় উপার্জিত অর্থ। দরিদ্র পরিবারের এমন ৪ শিশুকে ভাড়া দিতে না পারায় নদীতে ফেলে দেয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।

শনিবার এমভি ইমাম হোসেন-৫ নামের লঞ্চে এ ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান নেই লঞ্চের সব স্টাফকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে সরকারি একটি স্পিডবোটে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় ২টি শিশুকে সাঁতার কাটতে দেখেন তিনি। এমন অবস্থায় স্পিডবোট নিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন তিনি। পরে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা-সদরঘাটগামী এমভি আল-বোরাক নামের একটি লঞ্চে উঠিয়ে দেয়া হয়।

তবে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলছেন, সেদিন দুটি নয়, ৪টি শিশুকে ফেলে দেয়া হয়েছিল। দুই শিশুর বাড়ি নোয়াখালীতে এবং বাকিদের গাইবান্ধা ও কুমিল্লায়। মামলাটি নৌপুলিশ তদন্ত করবে।

তবে ফেলে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে লঞ্চের মাস্টার দেলোয়ার হোসেন জানান, ভাড়ার জন্য বাচ্চাদের মারধর করলে যাত্রীরা কি দেখত না? যাত্রীরা কি আমাদের ছেড়ে দিতো? আর এরকম অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা যায়, আমরা কখনও ভাড়া চাই না। বাচ্চাগুলি নিজেরাই লঞ্চ থেকে লাফ দিসে। আমরা কোনো শিশুরে ধাক্কা দিই নাই।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন