পিএনএস ডেস্ক: পদ্মায় পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সাথে সাথে তীব্র স্রোতের কারনে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। গত দুই দিনে চর সিলিমপুর এলাকার শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধের নিচে অবস্থিত সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ৫০ মিটার অংশ নদী গর্ভে ধ্বসে গেছে।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের ভাঙ্গনে ধ্বসে যায় এ স্থান। এতে হুমকিতে পরেছে ভাঙ্গন স্থানে থাকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বসবাসরত ২ শতাধিক পরিবার ও অন্যান্য স্থাপনা। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম।
নির্মানের তিন মাসের মধ্যেই নতুন নির্মিত তীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ৯টি স্থানে ৭ বার ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে সাড়ে ৭ শত মিটার সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়। বাঁধের ৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ সিসি ব্লকের স্থানে স্থানে ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় এখন ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছে পুরো বাঁধ এলাকা।
কয়েকদিন আগেও পাশে ১৫ মিটার স্থান নদী গর্ভে বিলিন হয়। বার বার ভাঙ্গনের কবলে পরে পুরো বাঁধ এখন ঝুকিপূর্ণ ও হুমকিতে পরেছে। হুমকিতে পরেছে শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধ ও শত শত পারিবার। তবে ভাঙ্গন স্থানে যথেষ্ট বালু ভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছেনা বলে অভেযোগ করেন এলাকাবাসি।
স্কুল শিক্ষার্থী ও স্থানীরা বলেন, বার বার নদী ভাঙ্গনে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাছে বসবাসরত ২ শতাধিক পরিবার , স্কুল, মসজিদ সহ এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো বেড়িবাঁধ এলাকা। বার বার ভাঙ্গনে মাথা গোজার শেষ স্থান টুকু কোথায় হবে সে দুঃশ্চিন্তায় কাটছে তাদের প্রতিটি মূহুর্ত। প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ সঠিক ভাবে করা হয়নিবলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ভাঙ্গন স্থানে প্রচুর পরিমানে বালু ভর্তি বস্তা ফেলা না হলে ঠেকানো যাবেনা স্কুল সহ পরিবার গুলো। কিন্তু ভাঙ্গন স্থানে ফেলা হচ্ছেনা যথেষ্ট বালুর বস্তা।
মোঃ আরিফুর রহমান অংকুর-উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী-পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ী তিনি বলেন, পানি বৃদ্ধি ও পানি কমে যাওয়ার সময় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। বাঁধে ভাঙ্গন ঠেকাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রক্ষার কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে এ পর্যন্ত ২ হাজার জিও ব্যাগের বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে। পরবর্তিতে পদ্মার পানি হ্রাস পেলে পুনরায় টেকসই স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ করা হবে।
পিএনএস/এএ
কমছে পদ্মার পানি, বাড়ছে ভাঙ্গন
17-09-2021 01:51PM