ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিলেন কাদের মির্জা

  22-10-2021 09:29PM

পিএনএস ডেস্ক : নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় আটকে রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


এ ঘটনায় কাদের মির্জার রোষানলের শিকার মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারি অ্যান্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রির মালিক আবদুল ওহাব (৫২) ও তার পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের জুবলি রোডের মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারি অ্যান্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রিতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব অভিযোগ করে বলেন, আমার পৈতৃক ক্রয়কৃত ৪ শতক জায়গার ওপর (মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারি অ্যান্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রি) ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। এতে ১৫ জন কর্মচারী কাজ করেন। দীর্ঘদিন থেকে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচন ও কাদের মির্জার নির্বাচনে কাজ করেছি। আমরা পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে কাদের মির্জা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাস জায়গায় বলে অভিযোগ তুলেন। এরপর হঠাৎ করে গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে কাদের মির্জা লোকজন নিয়ে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেন। তার ৪ দিন পর ডেকে নিয়ে চাবি দিয়ে দেন। আমাদের জায়গার সব কাগজপত্র ঠিক রয়েছে। কিন্তু রেকডের্র সময় ভুলে আমাদের নামটি বাদ যায়। তখন আমরা রেকর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করি। এ নিয়ে গত ৪-৫ বছর রেকর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। এসব কাগজপত্রও আমরা পৌরসভায় জমা দিয়েছি।

ওহাব অভিযোগ করে বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কাদের মির্জা দোকানে এসে আমাকে ঘুষি মেরে তার অনুসারীদের আমাকে উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার দোকান থেকে আমাকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে একটি ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমার থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার সময় আমাকে জানানো হয় এতে কোনো সমস্যা হবে না। পরে স্ট্যাম্পের বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলা হবে।

ওহাব জানান, এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিক আইনগত কিছু করেননি। ভেবে-চিন্তে তিনি পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে কল করা হলে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে যে ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, ওই ব্যবসায়ী কিংবা তার পক্ষে কেউ থানায় এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পিএনএস/ জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন