হাফেজকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

  26-11-2021 01:58AM

পিএনএস ডেস্ক: বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুম মল্লিক খোকনের বিরুদ্ধে এক হাফেজকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে চিকিৎসা নিতে গেলে প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতাল থেকেও তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মামলা না করতেও তাকে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী হাফেজের নাম সাইদুল খন্দকার। তিনি উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।

সাইদুল জানান, ১৮ নভেম্বর সকাল ৮দিকে মেয়েকে মাদ্রাসায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে খোকনের সঙ্গে তার দেখা হয়। এসময় খোকন তার বাগান থেকে বাঁশ কাটার অপবাদে সাইদুলকে মারধর করেন। এর কিছু সময় পর ৫/৬ জন সহযোগী নিয়ে এসে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন। সাইদুল বলেন, ওনার গ্রাম কালনা। ওই গ্রামে গিয়ে আমি কিভাবে বাঁশ কাটবো। হয়তো অন্য কোনো কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।

তিনি জানান, কালনা গ্রামের মৃত শামসুল হক মলি-কের ছেলে মাসুম মল্লিক খোকন। পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের এক নারীর বাসায় তার যাতায়াত ছিল। পথে প্রায়ই দেখা হতো সাইদুলের সঙ্গে। সাইদুলের কারণে নারীর বাসায় যাতায়াতের ঘটনা জানাজানি হয়েছে মনে করে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন খোকন। এ কারণেই হয়তো তাকে মারধর করেছেন।

ভুক্তভোগী সাইদুল জানান, তাকে মারধরের পর তিনি যাতে হাসপাতালে যেতে না পারেন সেজন্য তাকে ওইদিন গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। খবর পেয়ে পরদিন (১৯ নভেম্বর) সকালে গৌরনদী থানার এসআই আব্দুল হক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হাসপাতাল ছাড়া করে। এরপর মামলা না করতে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন খোকন ও তার সহযোগীরা। তা উপেক্ষা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান সাইদুল।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুম মল্লিক খোকন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমার সম্মানহানি ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, পুলিশ সাইদুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিএনএস/ এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন