কুল বিক্রি করে বাজিমাত

  17-01-2022 09:14AM


পিএনএস ডেস্ক: ফরিদপুরে মিশ্র জাতের কুল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা মফিজুর রহমান মাফি। প্রথম বছরেই অভাবনীয় সাফল্য পাওয়ার পর এ বছর অধিক জমিতে চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের কুল। শিক্ষিত যুবক হয়ে চাকরির পেছনে না ছুটে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায় সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ বছর প্রায় ১ কোটি টাকার কুল বিক্রির আশা করছেন তিনি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা ভিড় করছেন তার কুল বাগানে। মাফির সাফল্য দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বেকার যুবকরা। ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মফিজুর রহমান মাফি। পড়ালেখা শেষ করে বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও চাকরি পাননি। পরে সিদ্ধান্ত নেন বিদেশ যাওয়ার। ইউটিউব দেখে আগ্রহ দেখান কৃষিকাজে। বিদেশ না গিয়ে বিভিন্ন জাতের ফল আবাদে উদ্যোগ নেন। এরই সূত্র ধরে বাড়ির আঙ্গিনার পাশে ৮ বিঘা জমিতে কাশ্মীরি আপেল কুলের চারা রোপণ করেন। প্রথম বছরেই কুলের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় আগ্রহ বেড়ে যায় মাফির। এ বছর তিনি ৩৬ বিঘা জমিতে ভারত সুন্দরী, বলসুন্দরী, আপেলকুল, বাউকুলসহ মিশ্র জাতের ৭ হাজার কুলগাছ লাগিয়েছেন।

বর্তমানে তার বাগানটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাগান। গাছ লাগানোর নয় মাসের মাথায় এসব গাছে প্রথম কুল ধরতে শুরু করে। এখন প্রতিটি ডালেই বিভিন্ন রঙের কুল ধরে আছে। ফলনও হয়েছে অনেক। বাগানে আগাম জাতের কুল থাকায় এরই মধ্যে কুল সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হচ্ছে। প্রতি কেজি কুল বাগান থেকেই বিক্রি করছেন ১২০ টাকা কেজি দরে। তরুণ উদ্যোক্তা মফিজুর রহমান জানান, তার বাগানে এ বছর বিভিন্ন প্রজাতির কুল ধরেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা আয় হবে কুল বিক্রি করে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কুল চাষে আগ্রহী অনেকেই পরামর্শ নিতে আসেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষিত বেকার যুবক। তিনি তাদের কুল চাষে নানা সহযোগিতা করে থাকেন।

মাফি জানান, তার বাগানে শুধু কুল গাছই নয়, আছে পেয়ারা, আম, পেঁপে, লেবু, মাল্টাসহ দেশি-বিদেশি প্রজাতির নানা ফলের গাছ। তাছাড়া বাগানে বিভিন্ন জাতের ফলের চারা উৎপাদিত হয়। সেটি বিক্রি করেও বেশ লাভবান হয়েছেন। ফরিদপুরের আগ্রহী ব্যক্তিদের ফল চাষের বিষয়ে সহযোগিতা করছেন বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. হযরত আলী। তিনি বলেন, শিক্ষিত তরুণরা বেশ আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছেন। জানা গেছে, জেলায় এ বছর ১৬০ হেক্টর জমিতে নানা জাতের কুলের চাষ হয়েছে; যা থেকে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন কুল উৎপাদিত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন চাষীরা।

পিএনএস/আনোয়ার




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন