সেতু না থাকায় রশি টেনে নদ পারাপার

পিএনএস ডেস্ক : জামালপুরের বকশীগঞ্জের মেরুর চরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ পারাপারের জন্য সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে। প্রতিদিন মাত্র একটি রশি টানা নৌকায় এ পাড় থেকে ঐ পাড়ে যাতায়াত করতে হয়। চরের বাসিন্দারা দ্রুত নদের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে- নদীর উপর ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া আছে। অল্পদিনেই তা বাস্তবায়ন হবে।

জানা গেছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ মেরুরচর ইউনিয়নকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। এ নদের এক পাড়ে ভাটি কলকিহারা, অন্য পাড়ে ফকিরপাড়া। নদের প্রায় ২০০ মিটার অংশ রশি টানা নৌকায় পারাপার হতে হয় মানুষকে।

এ নৌকা দিয়েই ভাটি কলকিহারা, দুর্গাপুর, মাইছানির চর, ফকির পাড়া, গোয়ালেরচরসহ ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৫টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে।

একটি সেতু না থাকায় ভাটি কলকিহারা, মাইছানির চর, ফকির পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে ভোগান্তির মুখে পড়েন, শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ২ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে বাড়ি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। চরবাসীর দাবি- মেরুরচরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে স্থানীয়দের দুর্ভোগ যেমন কমবে, তেমনি বদলে যাবে এখানকার অর্থনীতি।

ভাটি কলকিহারা গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী বলেন, এ নদের কারণে আমরা প্রায় ২০ মানুষ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার মানুষ নাজুক পরিস্থিতির কারণে এ এলাকার জীবনমান এখনো নিম্নমুখী।

মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বলেন, একটি সেতু অভাবে এখানকার মানুষ নানামুখী সমস্যায় আছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এলজিইডির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামছুল হক বলেন, মেরুরচরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া আছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেতুটি দ্রুত নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

পিএনএস/আলাউদ্দিন