পিএনএস ডেস্ক : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের মনাটিয়া গ্রামে ছেলেদেরকে সম্পত্তির লিখে না দেওয়ায় এক বৃদ্ধকে দীর্ঘদিন ধরে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার (২১ মে) ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ ।
এসময় বৃদ্ধের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৫৮) ও বড় ছেলে সেলিম মিয়াকে (৪০) আটক করা হয়।
পরে রোববার (২২ মে) সকালে নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ আটক দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির নাম আবদুর রাজ্জাক (৭০)। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং মনাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আবদুর রাজ্জাক অবসরের পর থেকে গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তার ১০০ শতকের মতো জমি রয়েছে। ওই জমি তার তিন ছেলের নামে লিখে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ছেলেরা ও তার স্ত্রী হামিদা আক্তার তাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তিনি এতে রাজি না হওয়ায় গত এক মাস ধরে ছেলেরা তাকে নির্যাতনসহ একটি ঘরে খাটের সঙ্গে শিকলে বেঁধে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী কল্যাণী হাসান বলেন, জমি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধ আবদুর রাজ্জাককে নির্যাতনের ঘটনা শুনে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ নিয়ে আবু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশ তার স্ত্রী ও বড় ছেলে সেলিম মিয়াকে আটক করে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন বলেন, শিকলবন্দি অবস্থায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে তার মেয়ে নুরুন্নাহারের জিম্মায় তাকে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তার স্ত্রী হামিদা আক্তার ও বড় ছেলে সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পিএনএস/আলাউদ্দিন
সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন; স্ত্রী-মেয়ে আটক
22-05-2022 04:57PM