বরগুনা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো জেলা আ.লীগ

  17-08-2022 12:07AM

পিএনএস ডেস্ক : বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। তবে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ৮টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির।

জানা গেছে, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে হাজারের অধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা সবুজ মোল্লার গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থামাতে গেলে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এদিকে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলানায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। পরে গত ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এ সময় জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোনো কাউন্সিল ছাড়া বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি দিয়েছে। এই কমিটিকে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কেউ সহায়তা করবে না।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বাদ দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি বাতিল করতে হবে। এই নতুন পদ পাওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। নতুন কমিটিকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা জেলার ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত নেতাদের এমন বক্তব্য আমাদের চোখে আসেনি।

একই সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, জেলা ছাত্রলীগের যে কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষণা করেছে তা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে গিয়ে করা হয়েছে। যার কারণে ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ। এজন্য বর্তমানে ছাত্রলীগের মধ্যে দুই গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন কাজের কারণেই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

পিএনএস/এমবিবি

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন