কুমিল্লায় মাঠ মাতাচ্ছে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৮

  28-09-2022 01:04PM



পিএনএস ডেস্ক: চিকন ও চাষে সময় কম লাগায় কুমিল্লায় মাঠ মাতাচ্ছে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৮। আউশ মৌসুমে এটি আশা জাগানিয়া নতুন জাত। প্রচলিত মেগা ভেরাইটি ব্রি ধান ৪৮ এর থেকে এই জাতের ধান চিকন ও ফলন বেশি হয়। মাঠে জীবনকালও পাওয়া যাচ্ছে ব্রি ধান ৪৮ থেকে ৪-৭ দিন কম। সব মিলিয়ে কৃষকদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে ব্রি ধান ৯৮ জাতটি। ব্রি ধান ৯৮ জাতটি বিস্তারে দুই মৌসুম ধরে কাজ করছে উপজেলা কৃষি অফিস বুড়িচং।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর দুই বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো প্রদর্শনী স্থাপন করা হয় বুড়িচং উপজেলার জরুইন গ্রামে। উৎপাদিত বীজ রেখে এ বছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ১০ হেক্টর জমিতে জাতটি সম্প্রসারিত হয়েছে। তাছাড়া দেশের ৭টি উপজেলায় পাঠানো হয়েছে এই জাতের ৫০০ কেজি বীজ। বুড়িচং উপজেলার রামপুর ও জগতপুর গ্রামে এ বছর আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের ৪ একরের দুটি বীজ উৎপাদন প্রদর্শনীর আওতায় বীজ উৎপাদন করা হয়েছে।

সম্প্রতি রামপুরে আয়োজিত প্রকল্পটির এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের আউশ ধান আবাদ করেন এমন ৬০ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে ৫ কেজি করে ব্রি ধান ৯৮ এর বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কুমিল্লা অঞ্চলের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো. আমানুল ইসলাম ও বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রামপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোসা. সুলতানা ইয়াসমিন।

অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, পর পর দুই বছর ব্রি ধান ৯৮ এর ফলন ভালো হয়েছে। যে সকল উপজেলায় বীজ পাঠানো হয়েছিল সেখানকার কৃষকেরাও জাতটি পেয়ে আনন্দিত। বুড়িচং উপজেলায় এ বছর গড় ফলন পেয়েছি শুকনা ধানে ৪.৮৬ মেট্রিক টন। তবে সঠিক বয়সের চারা রোপণ ও প্রয়োজনে সম্পূরক সেচ, এই দুটি বিষয় এ বছর যারা নিশ্চিত করেছেন তাদের ফলন প্রতি হেক্টরে ৫-৫.৫ মেট্রিক টন হয়েছে। ব্রি ধান ৯৮ জাতটি আগামীতে আউশের মেগা ভেরাইটি হবে বলে মনে করি। জাতটি বিস্তারের লক্ষ্যে ৪.১৮ মেট্রিক টন বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন