টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত নাজমুলকে নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

  06-10-2022 01:48AM

পিএনএস ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জড়িয়ে ওসি মোয়াজ্জেম এবং টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে নিয়ে একটি ভিডিওর বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে এসে নাজমুলকে নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, টিপকাণ্ডে চাকরি হারানো পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে বলেছিলাম আপনি আপনার বউ বাচ্চাকে নিয়ে আমার কাছে আসবেন না। তাদেরকে কেন কষ্ট দিচ্ছেন।

বুধবার (৫ অক্টোবর) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে এ কথা বলেন তিনি।

টিপকাণ্ডে কনস্টেবল সাহেব আমার কাছে তিনবার আসছেন দাবি করে ফেসবুক লাইভে সুমন বলেন, প্রথম বার যখন আসছেন আমি উনাকে বলেছি বিনা পয়সায় আপনাকে সাহায্য করব। যদি কোনো কারণে আপনার পানিশমেন্ট (সাজা) বেশি হয়, তাহলে আইজিপি বরাবর আবেদন করেন। উনি আবার আসছেন আমি বলছি আপনার ওপর মানুষের সিম্পেথি আছে, আপনি চেষ্টা করে দেখেন আপনার চাকরিটা ফেরত পেতে পারেন। আমি আপনাকে একটা রুল এনে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, যখন তৃতীয় বার আমার কাছে বউ-বাচ্চাকে নিয়ে আসেন নাজমুল, আমি তাকে বলি চাকরি গেছে আপনার, আপনি কেন আপনার বউ-বাচ্চাকে সামনে নিয়ে আসছেন। এটা তো শরিয়ত বিরোধী। আপনি একজন হুজুর মানুষ।

সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, আর এই ভিডিওটি পুরোটা না দেখিয়ে, অর্ধেক অর্ধেক করে ভিডিও করে যারা মানুষকে দেখায়। তাদের প্রতি আমি বলব আপনাদের প্রতি এই ধরনের জিনিসই অপেক্ষা করছে। আরেকটা জিনিস হলো উনি (নাজমুল) বার বার আমার পিএসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, আমি নাকি উনার সঙ্গে দেখা করি নাই। শেষ বার উনি (নাজমুল) আমাকে চিটার বলার চেষ্টা করেছেন। এইভাবেই যদি হয় তাহলে ভিডিওটা এলো কিভাবে? প্রশ্ন রাখেন সুমন।

নাজমুল বিরাট বড় অপরাধ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, উনি আমার সঙ্গে দেখা করলেন কিভাবে? এই কনস্টেবল সাহেবের মনের মধ্যে যদি দুই নাম্বারি না থাকে তাহলে আমার অনুমতি ছাড়া ভিডিও আরেকজনের কাছে দিয়েছেন। আমার অনুমতি ছাড়া আমার পিএসের সঙ্গে ফোনের কথা উনি রেকর্ড করেছেন। রেকর্ড করে অন্যসব লোকের কাছে পাঠিয়েছেন। এটা একটা বিরাট বড় অপরাধ। মনের মধ্যে উনার দুই নম্বরি না থাকলে এই ফোন রেকর্ড করে মানুষের কাছে তা দিতেন না।

নাজমুলকে ৮ বছরের সাজা হওয়ার কথা উল্লেখ করে সুমন বলেন, জানেন উনি কী অপরাধ করেছেন, ঠিক ওসি মোয়াজ্জেম যেরকমর অপরাধ করেছেন। আমি ইচ্ছা করলে উনার (নাজমুলের) বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারি। ওসি মোয়াজ্জেমের মতো নাজমুলের ৮ বছরের সাজাও হতে পারে। কিন্তু আমি এটা করব না। কারণ এমন ছোট লোকদের বিরুদ্ধে কাজ করি না। আমি সমাজের বড় বড় লোকের বিরুদ্ধে, যারা সমাজের বড় বড় ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি।

সম্প্রতি এক ভিডিওতে বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের কাছে বার বার গিয়েও কোনো সহযোগিতা পাননি টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল হোসেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন