কুমিল্লায় পরকীয়ার দৃশ্য দেখে ফেলায় প্রাণ যায় সাকিবের

  09-09-2023 11:59AM

পিএনএস ডেস্ক: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় সাকিব হোসেন নামের যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের নাপিতের বাড়ি সংলগ্ন স্কুলের পেছনের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা সরিয়ে সাকিবের লাশ দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সাকিব (২২)।

গ্রেপ্তারকৃত সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার কলাউড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মফিজুল ইসলাম (৫৩)। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মজুমদার বাড়িতে ইব্রাহীমের ঘরের ভাড়াটিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মফিজুল স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে জানান, ‘একই গ্রামের এক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি সাকিব দেখে ফেলায় সমাজে জানাজানি হয়ে যাবে ও ওই নারীর সংসার ভেঙে যাবে এ আশংকায় তারা সাকিবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে মফিজুল লেবুর শরবতের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে সাকিবকে খাওয়ায়। এর ফলে গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে গেলে তাকে মধ্যরাতে মফিজুল ও ওই নারী বাড়ির বাইরে নিয়ে গামছা দিয়ে সাকিবের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় মৃত্যু নিশ্চিত হলে মফিজুল ও ওই নারী সেপটিক ট্যাংকে সাকিবের মরদেহ ফেলে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিহত সাকিবের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ উপপরিদর্শক উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাসের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আজমপুর রেল স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার মফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন