পিএনএস ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৬৭), তার স্ত্রী উষা বেগমকে (৬২) মারধর ও তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আখাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন, তার ভাই সাব্বিরসহ কাউন্সিলরের লোকজন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার স্ত্রীকে মারধর ও বাড়িতে হামলা করে।
এ ঘটনায় পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই সাব্বিরকে গ্রেফতার করে।
আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া পৌর শহরের নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই তাদের লোকজন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা চালিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের এক নেতাসহ কয়েকজন বলেন, বুধবার বিকেল চারটার দিকে সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসির সামনে একটি চেয়ারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বসা ছিলেন।
সে সময় একটি ছেলে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতার সাথে তর্কে জড়ান। এরই মাঝে কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে পাঞ্জাবির কালারে ধরে সড়ক বাজারের সড়কের মাঝখানে নিয়ে যান।
সেখানে কাউন্সিলর, তার ভাই ও তাদের লোকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে কাউন্সিলর ও তার লোকজনকে ফিরিয়ে দেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোক তাদের বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে উষা বেগমের পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দীন বেগ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগ। কাউন্সিলর নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করলেও তার বিরুদ্ধে বিএনপির নাশকতার মামলা রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, আমি ঢাকায় আছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। কেন এমন হয়েছে আমি জানি না।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মসজিদপাড়া থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার ভাই সাব্বিরকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা বিএনপির একটি নাশকতার মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পিএনএস/এমএইউ
উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ও তার স্ত্রীকে মারধর করলেন কাউন্সিলর
07-12-2023 01:48PM