পিএনএস ডেস্ক: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মিজবাহুল জান্নাত তারিন নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ঈদের দিন দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি কুরবানির ঈদে ছাগল না দেওয়ায় হত্যা করেছে। অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচাতে বিষ প্রয়োগে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
লোহাগাড়ার আধুনগর রশিদারঘোনা গ্রামের নুরুল ইসলাম পুতুর মেয়ে মিজবাহুল জান্নাত তারিনের (২০) সঙ্গে চুনতি মিরিখিল গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আরফাতের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
মৃতের মা বলেন, গত জানুয়ারি মাসে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে তারিনকে যৌতুকের জন্য নানা ধরনের নির্যাতন করেছে। তারিনের শাশুড়ি কুরবানি উপলক্ষে ছাগল দাবি করেন। এর জের ধরে তাকে গলা টিপে হত্যা অথবা বিষ প্রয়োগ করিয়ে হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছে। এটি শাশুড়ি ও ননদ জোবাঈদা আক্তার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত তারিনের শাশুড়ি পারভিন আক্তার বলেন, কুরবানি উপলক্ষে কোনো কিছু চাওয়া হয়নি। তবে তারা ছাগলের পরিবর্তে ঈদের পর টাকা দিবে বলছিল। কেন বিষ প্রয়োগে আত্মহত্যা করেছে সেটা জানি না। এখানে আমাদের দোষের কিছুই নাই।
মৃতের স্বামী মো. আরফাত বলেন, কুরবানি উপলক্ষে রাতে চাকরি থেকে বাড়ি আসি। আমাদের সুখের সংসার চলছিল। সকালে ঈদের নামাজ পড়ে এসে জানতে পারি তারিন বিষ খেয়ে বমি করছে। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তার মাকে দায়ী করছেন ছেলে আরফাত।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পৃথ্বীরাজ কর জানান, সকাল ১০টার পরপরই তারিন নামের গৃহবধূকে নিয়ে আসে স্বজনরা। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা চিকিৎসার পর সকাল ১১টায় মারা যায়।
লোহাগাড়া থানার এসআই সত্যজিৎ জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে লাশের সুরতহাল শেষ করি। হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
পিএনএস/এমএইউ
ঈদে শ্বশুরবাড়ি থেকে ছাগল না দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যা
17-06-2024 05:50PM