পিএনএস ডেস্ক: পুলিশের গুলিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নিহত হন ৪ জন। এছাড়া বিক্ষিপ্ত জনতার হাতে ৪ জন পুলিশ নিহত হয়। উপজেলা ভবন ও থানা আগুনে পুড়ে ছাই, অস্ত্র ও মালামাল লুট।
নিহতরা হলেন- পৌরসভার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাঈন উদ্দিন ইয়াসিন, সোনাইমুড়ি নতুন বাড়ির মো. হানিফ (বাবলুর ছেলে) মো. ইয়াসিন, কেশারপাড় গ্রামের আমিন মিয়ার নতুন বাড়ির মামুনের ছেলে মো. হাছান, বারগাঁও ইউপির হোসেনপুর গ্রামের মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তানভির হোসেন।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সোনাইমুড়ি থানার এসআই বাছির উদ্দিন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বোরহান উদ্দিন ও ইসমাইল হোসাইন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য দেওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আনন্দ মিছিল নিয়ে সোনাইমুড়ি পৌর শহর ঘুরে বাইপাস চত্বরে এসে একত্রিত হয়ে গায়েবি জানাজার নামাজ পড়েন। এরপর জনতা থানার মেইন গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকলে পুলিশ মাইকে বারবার অনুরোধ করার পরও ক্ষুব্ধ হাজার হাজার জনতা হামলা চালায়।
তখন আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ গুলি ছুড়ে। গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। পরে জনতা হামলা চালিয়ে থানায় আগুন দেয় ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষিপ্ত জনতার হাতে ৪ পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
এ বিষয়ে একাধিক ফোন করেও পুলিশের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোনাইমুড়ি থানা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই ও উপজেলা ভবনের বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর করা হয়।
পিএনএস/রাশেদুল আলম
সোনাইমুড়িতে থানায় আগুন, অস্ত্র ও মালামাল লুট, নিহত ৮
06-08-2024 11:27PM