রাজশাহীতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ, তোপের মুখে উপকমিশনার

  07-08-2024 07:44PM

পিএনএস ডেস্ক: পুলিশ হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে রাজশাহীতে বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) লাইনসে এ বিক্ষোভ হয়।

এ সময় তাদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন শাহ মখদুম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী। পরে সেনা সদস্যরা তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ- সরকারের পতন হচ্ছে তা আগের দিনই টের পেয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তখন ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপদে চলে যান। অথচ সরকার পতনের দিনও শিক্ষার্থীদের দমন করতে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। এর ফলে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশের এসব হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

এজন্য তারা ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদেরও বিচার চান। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ৯ দফা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ থেকে আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সমালোচনা করা হয়।

এ সময় পুলিশের শাহমখদুম জোনের ডিসি নূরে আলম সিদ্দিকী গিয়ে পুলিশ সদস্যদের মাঝে বক্তব্য দেন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে তাদের দাবির প্রতিফলন ঘটবে। এ সময় পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ নূরে আলম সিদ্দিকীকে আরএমপি ‘কমিশনারের দালাল’ বলে আখ্যা দেন। একপর্যায়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন।

এ সময় পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্য এবং পুলিশ সদস্যদের মাঝেও হট্টগোল হয়। ডিসিকে বের করার সময় টানা-হেঁচড়া শুরু হলে একজন সেনা সদস্য অস্ত্র উঁচিয়ে বলে ওঠেন, ‘এই গুলি করে দিব কিন্তু’। তখন একজন পুলিশ সদস্য সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দেন, গুলি করে দেন।’

এমন হট্টগোলের মাঝেই ডিসি নূরে আলম সিদ্দিকীকে পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটক দিয়ে নিরাপদে বের করে দেন সেনা সদস্যরা। পরে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা সদস্য বিক্ষোভকারী পুলিশ সদস্যদের শান্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন