পিএনএস ডেস্ক: রাজশাহীতে বিএনপিকর্মীর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার মালিকানাধীন একটি বাড়ি দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ইতোমধ্যে বাড়ির একটি ঘর দখলেও নিয়েছেন। নগরীর চণ্ডিপুরে জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবু তাহের দাবি করেন, দানসূত্রে পাওয়া এ বাড়ি দখলের চেষ্টা চলছিল আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২২ আগস্ট ওই বিএনপিকর্মী বাড়ির একটি ঘর দখল করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৯৭ সালে কুলসুম খাতুন নামের এক নারী নগরীর সপুরা মৌজায় প্রায় আড়াই কাঠা জমি মাদ্রাসাকে দান করেন। জমিটি দান করার সময় সেখানে দুটি ঘর ছিল। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আরও দুটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে। ঘরগুলো ভাড়া দিয়ে যে টাকা পাওয়া তা মাদ্রাসার এতিম ও দুস্থ ছাত্রদের জন্য ব্যয় করা হয়।
২২ আগস্ট দুপুরে সপুরা গোরস্থানপাড়ার সাইদুল ইসলাম কটা ও তার ছেলে বিএনপিকর্মী শাওনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বাড়ির সামনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের টাঙানো সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেন। তারা বাড়ির ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি দেন। এরপর তারা একটি ঘর খালি করে নিজেদের কিছু মালপত্র রেখে ঘরটি দখল করেন। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানা ও জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসার বাড়ি দখলমুক্ত করতে এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সাইদুল ইসলাম কটার ছেলে শাওন বলেন, ‘এ জমি আমাদের। আমাদের কাগজ আছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে ১৫ বছর ধরে জমি দখলে রেখেছিল। আমরা ইতোমধ্যে বসেছিলাম। সেখানে মাদ্রাসা কাগজ দেখাতে পারেনি। এরপরও তারা কেন সংবাদ সম্মেলন করল সেটা আমি বুঝলাম না।’
পিএনএস/রাশেদুল আলম
মাদ্রাসার বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ বিএনপিকর্মীর বিরুদ্ধে
02-10-2024 02:11AM