সুদে রিজার্ভের টাকা ঋণ নেবে সরকার

  18-10-2016 08:19PM

পিএনএস: বিশাল অঙ্কের রিজার্ভ থাকায় দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, এবার এই রিজার্ভের অর্থ সুদের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বিনিয়োগ করবে সরকার।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলা একাডেমীর আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ হলে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৫’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যানশিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর স্বীকৃতি হিসেবে ৩১ ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৫ সম্মাননা দেয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, হরতাল-অবোরোধ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি এসেছে। তাতে চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক সূচকে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭.৩ শতাংশের বেশি অর্জন করা সম্ভব হবে।’ এ সময় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখছে বলেও জানান মন্ত্রী।
দেশের রিজার্ভ বাড়লে অর্থনৈতিক শক্তি বাড়ে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশাল অঙ্কের রিজার্ভ মজুদ থাকায় দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি তখন মাত্র চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ ছিল। এখন সেই রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বিশাল অর্থ দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হবে বিভিন্ন প্রকল্পে। নির্দিষ্ট হারে সুদে ঋণের মাধ্যমে রিজার্ভের টাকা নেয়া হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কাযকম দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে আবদুল মুহিত প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে দেশেই কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
বিদেশে শ্রমশক্তি পাঠানোর আগে তাদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দেশ থেকে চার থেকে পাঁচ লাখ লোক বিদেশে যায়। কিন্তু দক্ষতা না থাকায় তাদের আয় কম হচ্ছে। দক্ষতা বাড়ালে তাদের আয়ের পাশাপাশি রেমিট্যান্সও বাড়বে।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশে ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী প্রমুখ।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন