সুন্দরগঞ্জে চালের বাজারে অস্থিরতা

  17-09-2017 07:19PM

পিএনএস, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চালের বাজার অস্থির হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

জানা গেছে, দেশে চাল আমদানি হলেও এর সাথে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েই চলেছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে সব রকমের চালের দাম কেজি প্রতি ৮ থেকে ৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্য বিত্ত পরিবার গুলোর নাভিশ্বাস উঠেছে। চোঁখে দেখছেন সরিষার ফুল। বাজারে চাল কিনতে গেলে বিক্রেতাদের সাথে ক্রেতাদের দাম কষাকষি নিয়ে প্রায় বাক-বিতন্ডা লেগেই চলছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা।

এছাড়া ব্রি-২৮ অটোমিলের চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, হাসকিন মিলের চাল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। ব্রি-২৯ চাল ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা, বাসমতি ৭২ থেকে ৭৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কঞ্চিবাড়ির দিনমজুর সিদ্দিক হোসেন জানান, সারাদিন কাজ করে ২’শ থেকে ২’শ ৫০ টাকা রোজগার করেও চালের বাজারে গিয়ে মাথা গরম হয়ে যায়।

যে হারে চালের দাম বেড়েছে তাতে আমাদের মতো লোকজনের পক্ষে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। ছাইতানতলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী আমজাদ মিয়া জানান, সরকার কর্তৃক আমদানিকৃত চাল বাজারজাত না হওয়া পর্যন্ত চালের বাজার কমার সম্ভাবনা নেই। চালের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন আনন্দ জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেই চালের দাম বেড়ে গেছে।

এছাড়াও অন্যান্য আমদানি খরচ মিলিয়ে চালের দাম দফায় দফায় পাইকারী বাজারে বাড়ানোর কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। এ নিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলা উদ্দিন বসুনিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলায় ১০৫টি চালকল রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি চালকল মালিক সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বাজারে ধানের মুল্য অধিক হওয়ায় তারা চাল দিতে হিমশীম খাচ্ছেন। ধানের মুল্য অধিক হওয়ায় বেশির ভাগ চালকল মালিকরা সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ থেকে বিরত রয়েছে। এদিকে ধান না পাওয়ায় বেশির ভাগ চালকল অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যার প্রভাব চালের বাজারে পড়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন