দ. কোরিয়ায় ১ লাখ ডলারে বিক্রি হচ্ছে ক্লোন করা কুকুর!

  18-10-2016 03:37PM

পিএনএস, ডেস্ক: কুকুরের মাংস খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের কাছে। ফলে সেই দেশেই যখন মারা যাওয়া প্রিয় কুকুরটিকে ফিরে পেতে এক লাখ মার্কিন ডলার খরচ করতে শুরু করে লোকে, তখন সবাই অবাক হয়েছিল।
কিন্তু গত কয়েক দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দক্ষিণ কোরিয়াতে এক নব্য উচ্চবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে।
তাদের কাছেই পোষা প্রাণীর ক্লোনিং এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এমন একজন লোরা জেকস।
প্রিয় কুকুর ডিলানের মৃত্যুর পর পাগল প্রায় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে সান্ত্বনা দেবার উপায় খুঁজতে গিয়ে তার স্বামী রিচার্ড খুঁজে পেয়েছিলেন সউলের সুয়াম বায়োটেক ল্যাবরেটরি।
ক্লোন প্রক্রিয়া:
সুয়াম বায়োটেক ল্যাবরেটরির একজন পরিচালক জে উন ওয়াং জানান, অনেকে নমুনা সংগ্রহের সুবিধার জন্য পোষা প্রাণীটি মারা যাবার পরপরই ফ্রিজে রেখে দেন।
কিন্তু তাতে ওই প্রাণীটির শরীরের কোষ শুকিয়ে যায়। তখন সেটি নকল বানানো বা ক্লোন করার কাজে লাগানো যায় না।
তাই ফ্রিজে রাখার আগে মৃত প্রাণীটিকে, ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুড়ে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক ওয়াং।
যদিও ক্লোন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন হবে একটি কয়েনের সমান এক টুকরো নমুনা।
আর সে নমুনা হতে পারে মাংস বা হাড়ের অংশ। কিন্তু প্রচলিত ধারণা অনুসারে- লোম বা থুথুর নমুনা দিয়ে ক্লোন করা কিছুটা কঠিন বলেই জানালেন এই চিকিৎসক।
কতটা যৌক্তিক?
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার কোটি ডলারের পোষা প্রাণীদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিক্রি হয়েছে। যা আমেরিকা সরকারের দাতব্য প্রতিষ্ঠান ইউএসএইড’ এর বার্ষিক বাজেটেরও দ্বিগুণ।
ফলে পৃথিবীর এই প্রান্তে দারিদ্র যেখানে এখনো একটি বড় সমস্যা, সেখানে কেবল একটি পোষা প্রাণীর সান্নিধ্যের জন্য এক লাখ মার্কিন ডলার খরচ করা কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে যে দেশের মানুষ কুকুর খায়, তাদের জন্য এটি আরো বড় প্রশ্ন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন