পাকিস্তানেও ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়

  21-02-2017 11:48AM

পিএনএস ডেস্ক: ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে ঘটেছিল বাঙালির ইতিহাস পাল্টে দেয়ার ঘটনা। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বার নাম না জানা আরো অনেকে।

১৯৫৪ সাল থেকে দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এরপর ২০১০ সালে এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

সে অনুযায়ী গত বেশ কয়েক বছর ধরে সারা পৃথিবীতেই ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

কিন্তু ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে যে দেশটির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করবার দাবিতে ফুঁসে উঠেছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ, সেই পাকিস্তানে কি এই দিনটি পালিত হয়? হলে কিভাবে হয়?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বিষয়টি। এতে বলা হয়েছে, করাচির সাংবাদিক মনির আহমেদ জানিয়েছেন, কাগজে-কলমে ভালোভাবেই ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয় পাকিস্তানে। করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মতো শহরে ঘটা করেই পালন করা হয়। কিছু সেমিনার হয়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আলোচনাও হয়। প্রভাত ফেরির আয়োজনও দেখা যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

এ বছর ফেব্রুয়ারির ১৮ ও ১৯ তারিখে একটি সাহিত্য উৎসবও হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কিন্তু কেন ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, কী ঘটেছিল ১৯৫২ সালের সেই দিনটিতে, সে ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বচ্ছ ধারণা নেই বলে উল্লেখ করেছেন মনির আহমেদ।

কেবল ১৯৫২ সালে উর্দুর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এবং একটি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু ধারণা রয়েছে তাদের। দেশটির পাঠ্যক্রমেও এ বিষয়ক পূর্ণ ইতিহাসের অনুপস্থিতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই সাংবাদিক।

সুত্র: জাগো নিউজ


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন