পিএনএস ডেস্ক: গুপ্তহত্যার শিকার হামাসের সিনিয়র কমান্ডার মাজেন ফাকহার জানাজা অনুষ্ঠানে শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অধিকৃত গাজা উপদ্বীপের রাস্তায় প্রচণ্ড বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
নিহত মাজেনের মরদেহ নিয়ে মিছিল করেছেন হাজারো গাজাবাসী।
শুক্রবার রাতে গাজায় নিজ বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হন মাজেন। মাথায় গুলি লেগে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কে বা কারা জড়িত তা নিশ্চিত নয়।
হামাস আন্দোলনের পক্ষ থেকে শুক্রবার এক ঘোষণায় বলা হয়, ৩৮ বছর বয়সী ফাকহা একজন সাবেক বন্দী এবং আল-কাসাম ব্রিগেডের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। দক্ষিণ গাজা শহরে অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারী তাকে ‘হত্যা’ করেছে।
এ হত্যার ঘটনাকে ‘টারগেট কিলিং’ উল্লেখ করে এজন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে সংগঠনটি।
হামাসের পলিটব্যুরোর সিনিয়র সদস্য ইজ্জত আল রিশিখ বলেন, শব্দহীন বন্দুক ব্যবহার করে ফাকহাকে হত্যা করা হয়েছে।
৩৮ বছর বয়সী মাজেন ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরে হামলা পরিকল্পনার দায়ে ২০০৩ সালে অভিযুক্ত হলে তাকে জেলে যেতে হয়। পরে ফিলিস্তিনে আটক ইসরাইলি সৈন্য গিলাদ সালিতের মুক্তির বিনিময়ে দেশটি ১ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। সেসময় মাজেনও মুক্তি পান। এরপর তিনি গাজা স্ট্রীপে ফের হামাসের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ফাকহার গুপ্তহত্যা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের বিরুদ্ধে ইসরাইলের একটি নতুন আক্রমণাত্মক সূচনা। এই প্রতিরোধে সাড়া দেয়া এবং নিজেকে রক্ষার অধিকার ফিলিস্তিনিদের রয়েছে।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গাজা- ইসরাইল সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে হামাস কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: আলজাজিরা
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
হামাস নেতার মরদেহ নিয়ে গাজার রাস্তায় বিক্ষোভ
27-03-2017 07:14AM