ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকার যৌন সম্পর্ক, অতঃপর...

  27-07-2017 04:54PM

পিএনএস ডেস্ক : ইলেনর উইলসন (২৮)। তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। কিন্তু তারই এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে বহুল আলোচিত তিনি এখন। বলা হচ্ছে, স্কুল ট্রিপে ওই ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে বিমানের ভিতর তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন ইলেনর।

এ জন্য তাকে ক্লাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেনেভার লার্জ হেড্রন কলাইডার (এলএইচসি) পরিদর্শনের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, ওই শিক্ষকা তার স্কুলের প্রাথমিক স্টেজ-৪ এর প্রধান। তিনি ৬ষ্ঠ ফর্মে পড়া এক ছাত্রের সঙ্গে ওই সফরের সময় এ সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এ ঘটনা দেখে ফেলে অন্য একজন শিক্ষার্থী। এ নিয়ে শুনানি হয়। বিচার হয়। তাতে ওই শিক্ষিকার শিকারে পরিণত হওয়া শিক্ষার্থী, যাকে শুধু পিউপিল এ, নামে পরিচয় দেয়া হচ্ছে, সে সাক্ষ্য দেয়। বলে, ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে ওই সফরের সময় বিমানের ভিতর তাকে ছোট ৫ বোতল ওয়াইন পান করানো হয়। এতে মাদক মিশিয়ে দিয়েছিলেন ইলেনর উইলসন।

ওই ছাত্র স্বীকার করেছে সে ইলেনর উইলসনের সঙ্গে বিমানের টয়লেটে প্রবেশ করে। তারপর কোনো নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা না নিয়ে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এখানেই শেষ হয়ে যায় নি। সাউথ গ্লুসেস্টারশায়ারের ওই শিক্ষিকা তাদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। বৃস্টলে অবস্থিত ওই স্কুলে তাদেরকে নিয়ে নানা কানকথা ছড়িয়ে পড়ার পরও তিনি ওই ছাত্রকে এসএমএস পাঠাতে থাকে। পানীয় সেবনের জন্য তারা বার বার মিলিত হতে থাকেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কানে চলে যায় ওই কানকথা। তিনি ইলেনর উইলসনকে ডাকেন।

তার কাছে জানতে চান বিষয়টি। কিন্তু তাদের মধ্যকার অনৈতিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন তিনি। ফলে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় নি তার বিরুদ্ধে। তবে আরেক ছাত্রের ফাঁদে আটকে যান ইলেনর উইলসন। ওই ছাত্র তাকে প্রস্তাব দেয় যদি তিনি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না গড়েন তাহলে সব কিছু প্রকাশ করে দেবে সে।

ফলে মূল ঘটনার ৭ মাস পরে বিষয়টি আলোর মুখ দেখে নতুন করে। ২০১৬ সালের মার্চে ইলেনর উইলসনকে ধারাবাহিকভাবে ইমেইল পাঠাতে থাকে দ্বিতীয় এই ছাত্রটি। এতে সে জানিয়ে দেয়, পিউপিল এ’র সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি তার জানা। সে এ সম্পর্কে স্কুলে সাক্ষ্য দেবে।

ঘটনা ঘূর্ণিবাতাসের মতো ঘুরে যায়। ওই ইমেইল জমা পড়ে স্কুলে ও পুলিশে। ফলে ২০১৬ সালের মে মাসে ইলেনর উইলসনকে বরখাস্ত করে তদন্ত শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এ নিয়ে ন্যাশনাল কলেজ ফর টিচিং অ্যান্ড লিডারশিপের ডিসিপ্লিনারি প্যানেলে শুনানি হয়। তারা দেখতে পায় পিউপিল এ’র কথা সত্য, হতে পারে। এক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী আছে। ওই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না ইলেনর উইলসন।

তবে প্যানেলের কাছে তথ্য আসে যে, তারা অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু এর আগে ওই শিক্ষিকা তাদে শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছেন, তারা দু’জনে শুধু আলিঙ্গন করেছিলেন। স্কুলের তদন্তকারীদের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন যে, তাদের সাক্ষাত হতো, টেক্সট ম্যাসেজ বিনিময় হতো। তবে কোনো এলকোহল সেবনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

কিন্তু এ সংক্রান্ত একটি রিসিপ্ট দেখিয়েছে ওই ছাত্র। এর পরেই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্যানেল আরো দেখতে পেয়েছে যে, পিউপিল এ’কে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের কথা লুকাতে উৎসাহিত করেছিলেন ইলেনর উইলসন। তদন্তকারীদের কাছে মিথ্যা বলতে বলেছিলেন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন