ক্ষমা পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার

  04-12-2016 01:23PM


পিএনএস: ডাকাত ধরতে পারলে মেরে ফেলার আহ্বান জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মোজাহিদুল ইসলাম। ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি আর কখনো এ ধরনের কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করায় তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের বক্তব্য না দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে রবিবার সকালে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন দাখিল করেন তিনি। বেলা ১২টার দিকে এ আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন এসপির আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।

গত ২৭ নভেম্বর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই এসপিকে তলবসহ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সংবিধানবহির্ভূতভাবে জনগণকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে এবং কোনো অপরাধীকে বিচারবহির্ভূতভাবে মৃত্যু ঘটাতে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় কেন এসপির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র ও আইনসচিব, আইজিপি, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও এসপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

একইসঙ্গে আইজিপি ও এসপি মোজাহিদকে আলাদাভাবে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এসপিকে উপস্থিত হয়ে নিজে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট। ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিঁষে মেরে ফেলুন শিরোনামে গত ২৬ নভেম্বর দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ওই দিন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত এসপিকে তলব ও রুল জারি করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে গত ২৫ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে এসপি মোজাহিদুল বলেন, কোনো ডাকাতকে হাতেনাতে ধরতে পারলে তাকে পিঁষে মেরে ফেলতে হবে। তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশে আরও বলেন, যদি ডাকাত হাতেনাতে ধরতে পারেন, এলাকার লোকজনকে মাইকে ডেকে এনে ওকে পিঁষে মেরে ফেলেন। মাদকের গাড়ি হলে সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি- আপনাদের নামে কোনো মামলা হবে না। এই গ্যারান্টি আমার।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন