মোমিন হত্যায় আসামীদের সাজা বহাল

  07-12-2017 02:04PM


পিএনএস ডেস্ক: কলেজ ছাত্র মোমিন হত্যা মামলায় আসামীদেরকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার আসামীদের আপিলের শুনানী করে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১নং আসামী কাফরুল থানার ওসি রফিক কারাগারে মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলার সাজা অকার্যকর পরিসমাপত্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

রফিক বাদে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও তারেক ওরফে জিয়া। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হাবিবুর রহমান তাজ, জাফর আহমেদ, মনির হাওলাদার, ঠোঁট উঁচা বাবু, হাসিফুল হক জনি ও শরিফ উদ্দিন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলায় হাইকোর্টের শুনানি শেষ করা হয়। পরে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করে আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

কাফরুল থানার প্রয়াত ওসি একেএম রফিকুল ইসলাম এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সে সময় মামলাটি খুবই চাঞ্চলকর ছিলো। তিনি কারাবন্দি অবস্থায় ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খুন হন কলেজছাত্র মোমিন। এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে, এ মামলায় রফিককে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ২০০৭ সালে চার্জশীট দেয় সিআইডি। সিআইডির চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন করেন বাদী । এর প্রেক্ষিতে ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত।

ডিবিও তদন্ত শেষে ওসি রফিককে বাদ দিয়ে ২০০৮ সালের ২ মার্চ অভিযোগপত্র দেয়। এরপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। ২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর দেওয়া এ তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ওসি রফিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের ১১ নভেম্বর এ অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। এরপর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ স্থানান্তর করা হয়। এ আদালতে ওসি রফিকের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি। এ আদালতেই বিচার শেষে ২০১১ সালের ২০ জুলাই রায় দেওয়া হয়।

রায়ে ওসি রফিকসহ তিনজনকে ফাসির সাজা দেয়া হয়। একইসাথে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। নিয়ম অনুযায়ী নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসি অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে। পাশাপাশি মামলা আসামীরাও সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর ১২ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন