সন্তানের কান্না থামাতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা!!

  28-04-2021 09:49PM

পিএনএস ডেস্ক : রাতে ঘরে এসে দেখেন স্ত্রী ঘুমিয়ে আছে। আর তার পাশে দেড় বছরের শিশু সন্তান কান্না করছে। বুকের দুধ দিয়ে কান্না থামাতে বললে একটু দেরি হওয়ায় রাগে শুয়ে থাকা স্ত্রীকে গলা টিপে ধরলে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে। তবে লাশ দাফনের আগেই খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরপুবাইল গ্রামে।

গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করলে স্বাকীরোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার এমন বর্ণনা দেন স্বামী সোহেল মিয়া। স্ত্রী হত্যার প্রায় পাঁচমাস পর সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ওই গৃহবধূ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরপুবাইল গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে তাছলিমা খাতুন (২৮) এবং একই গ্রামের অলিম উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল মিয়ার (৩২) স্ত্রী। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাতে মারা যান তাছলিমা। রাতেই ঘটনাটি শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার চালায় তাছলিমা স্ট্রোকে মারা গেছেন। তাছলিমার পরিবারের লোকজনের অভিযোগে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করলে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরদিন গৃহবধূর ছোটভাই মো. মোস্তাকীম বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম মোড় এলাকা থেকে তাছলিমার স্বামী সোহেল মিয়াকে আটক করে। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাছলিমাকে গলাটিপে হত্যা করেন সোহেল মিয়া।

এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ বুধবার সোহেল মিয়াকে ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাহবুবা আক্তারের আমল গ্রহণকারী আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সোহেল ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন