‘দেশে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত না থাকায় শ্রমিকরা অধিকার বঞ্চিত’

  23-06-2017 03:10AM

পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলম পরওয়ার বলেছেন, “দেশে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে তাকওয়াভিত্তিত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষে মানুষে বৈষম্য দুর হবে এবং শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকার ফিরে পাবেন। ঈদ মুসলমানদের জীবনকে আনন্দঘন করে এবং তাকওয়াপূর্ণ জীবন গঠনের শিক্ষা দেয়। তাই প্রান্তিক শ্রেণির শ্রমিকদের সাথে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করার জন্যই আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি। গণমানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।”

তিনি শ্রমিক বান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, সহকারি সেক্রেটারি এইচ এম আতিকুর রহমান, শ্রমিক নেতা শাহিদুর রহমান মোল্লা ও বশির আহমদ প্রমূখ।

অধ্যাপক মিয়া পরওয়ার বলেন, “এখনও শ্রমিকরা অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। তারা জীবন-জীবিকার তাগিদে কঠোর পরিশ্রম করলেও নায্য বেতন ও বনাস থেকেও তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অসহায় ও অস্বচ্ছল শ্রমিকদের সহায়তা করা সরকারের দায়িত্ব হলেও সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে কোন ইতিবাচক কাজই করছে না।

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। মূলত তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনে দেশের শ্রমিক সমাজের মধ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। তাই শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পতাকাতলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

তিনি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি বলেন, “দেশে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত না থাকায় শ্রমিকরা আজ অধিকার বঞ্চিত। মূলত ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলেই শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকার পাবে। আমাদের অনেক হতাশা ও অপ্রাপ্তির মধ্যেই আমাদের মধ্যে আবারও ফিরে এসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ও আইনের শাসন না থাকায় জনজীবনে ঈদের আনন্দটা অর্থবহ হয়ে উঠছে না। তাই ঈদকে অর্থবহ করতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও আইনের শাসনের কোন বিকল্প নেই।”

তিনি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন