`বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে'

  25-11-2017 07:24AM


পিএনএস ডেস্ক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনই ওই নির্বাচন সম্পন্ন করবে।

শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এক কথা বলেন।

মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো.জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আনিসুল হক ভূইয়া, আওয়ামী লীগ যুগ্ন আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী, কসবা পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগম, ছাত্রলীগ সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করার প্রশ্নই উঠেনা। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় মামলা হয়েছে। বিশ্ববাসী আজ জেনে গেছে খালেদা জিয়ার পরিবার একটি দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার।

তিনি ব্যারিস্টার মওদুদ সম্পর্কে বলেন, ১৯৭৫ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের দলে যান। জিয়াকে ডুবিয়ে পরে এরশাদের দলে যোগ দেন। এরশাদ যখন ডুবলেন তখন আবার খালেদা জিয়ার দলে গেলেন এবং তাকেও ডুবালেন। এই হলো তার চরিত্র। তিনি বিধবা মহিলার বাড়ি আত্মসাৎ করেছিলেন। আইন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ আর ২০৪১ সালে হবে বিশ্বের একটি উন্নত দেশ।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াতে পারবেন: আইনমন্ত্রী
আপিল বিভাগ নতুন বিচারপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হলে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত জেলা জজদের এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গত ২ অক্টোবর থেকে ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর হাইকমিশনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এরপর তিনি তার মেয়ের কাছে কানাডা চলে যান।
এর আগে গত ২ অক্টোবর থেকে ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় যান তার বড় মেয়ের কাছে বেড়াতে।

সংবিধানের ৯৭নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রধান বিচারপতি তাহার দায়িত্বপালনে অসমর্থ বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে ক্ষেত্রমতো অন্য কোনো ব্যক্তি অনুরূপ পদে যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা প্রধান বিচারপতি স্বীয় কার্যভার পুনরায় গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম, তিনি অনুরূপ কার্যভার পালন করিবেন।

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া যাবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কথা, বিচারপতিদের শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিচারপতি নিয়োগ দেয়া যাবে না। আমাদের সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির কথা বলা আছে; যিনি আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি হবেন, তিনি অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হবেন। ‘সেখানে কিন্তু পরিষ্কারভাবে বাংলায় এ কথা বলা আছে অনুরূপ। প্রধান বিচারপতির অনুরূপ ক্ষমতা প্রয়োগের কথা বলা আছে। অনুরূপ মানে হচ্ছে-প্রধান বিচারপতি যা করতে পারতেন তিনিও তা করবেন।’

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একটু পেছনে তাকালে দেখা যাবে, ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ কেয়ারটেকারের চিফ অ্যাভাইজর হয়েছিলেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন। তখন একজন অ্যাক্টিং চিফ জাস্টিস ছিলেন। তিনি অ্যাপয়েনমেন্টও দিয়েছেন। শপথও পড়িয়েছেন। এটা যে নজির নাই তা না। নজির আছে। অনুরূপ কথার ওপরে জোর দিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যিনি এখন অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি তিনি কিন্তু একটা শপথ নিয়েছেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে। ‘অনুরূপ’ মানে হচ্ছে- চিফ জাস্টিসের সব ক্ষমতা তিনি পালন করতে পারবেন। সেখানে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো বিভাজন করে দেয়া হয়নি যে, তিনি কী করতে পারবেন কী পারবেন না।’

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন