হেফাজতের আন্দোলনের মধ্যে যে ইঙ্গিত দিল বিএনপি

  29-03-2021 02:00AM

পিএনএস ডেস্ক: দুই দিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচি ডেকে হেফাজতে ইসলাম ব্যাপক ভাংচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগ করে চলেছে। সরকারি অনেক স্থাপনাও ভাংচুর করা হয়। পুলিশসহ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে অনেক। হেফাজতের হরতালে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের লোকজন ঢুকে পড়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এছাড়া হরতাল চলাকালে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন অংশ নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়েছে বিএনপি।

রোববার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে দেশের মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা ও জীবন কেড়ে নিয়ে জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। এদেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সব স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকেও তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জনগণের আন্দোলনের গণজোয়ারে অবৈধ সরকারের মসনদ অতলে তলিয়ে যাবে।

ফখরুল বলেন, জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিন্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই বহন করতে হবে। পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে সরকার। বর্তমানে দেশের মানুষ এক জালিম সরকারের শাসনে বসবাস করছে। করোনাকালে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় কাজ না করে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে আটকের প্রতিবাদে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস থেকে শুরু করে গত দুই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলি, তাণ্ডবের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এই নৃশংসতা ও নির্মমতার বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিক্ষোভরত জনতার ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে মধুপুরের পীর আবদুল হামিদসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকার সাইনবোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি ও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।

বিবৃতিতে ফখরুল আরও বলেন, ঢাকার বাসা থেকে আটক করা হয় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে। এছাড়া দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভে অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে নিপুণসহ আটককৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন