আইপিও-পরবর্তী মূলধন হবে কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা

  07-05-2017 09:42AM


পিএনএস ডেস্ক: আইপিও আইন আবারও সংশোধন করতে যাচ্ছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ বিষয়ে সংস্থাটি খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করেছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী শেয়ারবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে আগ্রহী কোম্পানিকে এ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে হবে, যাতে আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা হয়। সংশ্লিষ্টরা চাইলে আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে খসড়ার ওপর মতামত জানানোর সুযোগ পাবেন। তবে কমিশন কর্মকর্তারা জানান, ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানি আবেদন করেছে, সেগুলো পুরনো আইনের আলোকেই বিবেচনার কথা ভাবা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আইপিও আইনে সংশোধন আনা হয়েছিল। ওই সংশোধনের পরও আইপিওর বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক যোগসাজশে শেয়ারদর নির্ধারণের অভিযোগ ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটে আইনটি আবার সংশোধন করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নতুন সংশোধন প্রস্তাবে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় প্রিমিয়ামসহ কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের শর্ত আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক উন্মুক্ত দর প্রস্তাব (বিডিং) প্রক্রিয়ায় আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক কোটার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের জন্য দর প্রস্তাবের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ শর্ত চূড়ান্ত হলে এ প্রক্রিয়ায় শেয়ারদর নির্ধারণে কমপক্ষে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের দর প্রস্তাবকে আমলে নিতে হবে। কমিশন মনে করছে, এত সংখ্যক কোম্পানিকে প্রভাবিত করে কোনো কোম্পানি বেশি দর পাওয়ার চেষ্টা করতে পারবে না।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় দর নির্ধারণে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ইলেকট্রনিক বিডিং প্রক্রিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কোটার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার পেতে আবেদন করতে পারে। প্রায় ৩০০ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মধ্যে মাত্র ১০টিকে ম্যানেজ করা হলে কাঙ্ক্ষিত দর পাওয়া সম্ভব ছিল। এমন অভিযোগ পাওয়ার কারণে আমারা নেটওয়ার্কসের আইপিও আটকে দিয়েছে কমিশন।

এদিকে আইপিও নির্দিষ্ট মূল্য (ফিক্সড প্রাইস) পদ্ধতিতে বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ মূলধন সংগ্রহের শর্ত দিয়েছে বিএসইসি। এতে বলা হয়েছে, এ প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে হবে। বিদ্যমান আইনে আইপিওর উভয় পদ্ধতিতে অভিহিত মূল্যে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার বা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের দেড় কোটি শেয়ার ইস্যুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতিতে তা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হলেও বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তা অপরিবর্তিত থাকবে।

তবে কমিশনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানি পুরনো আইনে আইপিও আবেদন জমা দিয়েছে, তাদের জন্য নতুন আইনের ধারায় ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ফলে তাদের ভয়ের কিছু নেই।

ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, এখন থেকে কোনো কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা দেওয়ার আগে কমিশনের পাবলিক ইস্যু বিভাগের পরিচালকদের দ্বারা আবেদনটি সম্পূর্ণ আছে কি-না, তা যাচাই করে নিতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদন জমা দেওয়ায় কমিশনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হয়। এ বিলম্ব ঠেকাতেই এ বিষয়ে সকল মার্চেন্ট ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ইস্যু ব্যবস্থাপনাকারী সকল মার্চেন্ট ব্যাংক এ বিষয়ে চিঠি পাবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন