স্কুলে স্কুলে পাঠানো হচ্ছে ১৪৭ ভুলের সংশোধনী

  09-05-2024 10:22AM



পিএনএস ডেস্ক: শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময়ে এসে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বইয়ের ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ভুলগুলো সংশোধন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার পর থেকেই পাঠ্যবইয়ের ভুল বেশি ধরা পড়ছে। এ বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ৩৫টি বইয়ের ১৪৭টি ভুল ও অসঙ্গতি চিহ্নিত করা হয়েছে। গত বছরও বিভিন্ন বইয়ের প্রায় দুইশত ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। পরে সেগুলোর সংশোধনী দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি।

এ দিকে পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন ভুল ধরিয়ে দিয়ে সেগুলোর সংশোধনীও দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠানো ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের সংশোধনীগুলো প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে অবহিত করা এবং তাদের মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীর নিজ নিজ পাঠ্যবইয়ে সংশোধনীগুলো সংযোজন নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এর আগে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল ধরা পড়ে। আগের মতো এবারো ক্লাস শুরুর পর পাঠ্যবইয়ে থাকা নানা ভুল ও অসঙ্গতি নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা শুয় হয়। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ইমেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। এর আগে গত বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর চারটি বইয়ে ১৮৮ ভুল, ৫৮টি অসঙ্গতি চিহ্নিত করে। পরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সব বইয়ের ভুল-অসঙ্গতিগুলোর সংশোধনী দেয় এনসিটিবি।

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এই কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিষেশজ্ঞ কমিরি সুপারিশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণীর ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণীর ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণীর পাঁচটি বইয়ে ১১টি, ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঁচ বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।

এনসিটিবি থেকে জানা যায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুলত্রুটি ও অসঙ্গতি বের করা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণী শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসঙ্গতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, পাঠ্যবইয়ের যেসব ভুলত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে তা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণীর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময়ে এসে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বইয়ের ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ভুলগুলো সংশোধন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার পর থেকেই পাঠ্যবইয়ের ভুল বেশি ধরা পড়ছে। এ বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ৩৫টি বইয়ের ১৪৭টি ভুল ও অসঙ্গতি চিহ্নিত করা হয়েছে। গত বছরও বিভিন্ন বইয়ের প্রায় দুইশত ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। পরে সেগুলোর সংশোধনী দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি।

এ দিকে পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন ভুল ধরিয়ে দিয়ে সেগুলোর সংশোধনীও দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠানো ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের সংশোধনীগুলো প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে অবহিত করা এবং তাদের মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীর নিজ নিজ পাঠ্যবইয়ে সংশোধনীগুলো সংযোজন নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এর আগে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল ধরা পড়ে। আগের মতো এবারো ক্লাস শুরুর পর পাঠ্যবইয়ে থাকা নানা ভুল ও অসঙ্গতি নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা শুয় হয়। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ইমেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। এর আগে গত বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর চারটি বইয়ে ১৮৮ ভুল, ৫৮টি অসঙ্গতি চিহ্নিত করে। পরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সব বইয়ের ভুল-অসঙ্গতিগুলোর সংশোধনী দেয় এনসিটিবি।

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এই কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিষেশজ্ঞ কমিরি সুপারিশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণীর ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণীর ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণীর পাঁচটি বইয়ে ১১টি, ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঁচ বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।

এনসিটিবি থেকে জানা যায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুলত্রুটি ও অসঙ্গতি বের করা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণী শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসঙ্গতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, পাঠ্যবইয়ের যেসব ভুলত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে তা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণীর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন