বন্ধ হোক নাক ডাকা

  17-08-2017 01:35AM

পিএনএস ডেস্ক: নাক ডাকা নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। মজার ব্যাপার হলো, যিনি নাক ডাকেন, তিনি এটি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন না, সমস্যায় পড়েন তার আশপাশের মানুষ। বিশেষ করে সঙ্গী। কারণ একই বিছানায় ঘুমাতে গেলে একজনের নাকডাকা অপরজনের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জন্মগতভাবে কারো কারো গলার ভেতরের অংশ অন্যদের চেয়ে কিছুটা সরু থাকতে পারে যা নাক ডাকার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। এছাড়াও টনসিলের আকার বড় থাকা এবং অন্যান্য শারীরিক জন্মগত সমস্যার কারণে কেউ নাক ডাকতে পারে ঘুমের মধ্যে।

পুরুষদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা বেশি দেখা যায় নারীদের তুলনায়। এর কারণ হচ্ছে পুরুষদের গলার প্রস্থ মেয়েদের তুলনায় কম থাকে যার কারণে নাক ডাকার প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে বেশি।

ঠান্ডা লাগা অথবা অন্যান্য কারণে নাক বন্ধ থাকার অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। যখন নাক বন্ধ থাকে তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের যে সমস্যা হয় সেটার ব্যাপারেও নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই ঠান্ডা লাগলে অথবা উপরোক্ত কারণে কাউকে কাউকে নাক ডাকতে দেখা যেতে পারে ঘুমের মধ্যে।

শারীরিক ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গলার পেছনের দিকের অংশে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে শুরু করে এবং এতে গলার ভেতরের প্রস্থ কমে যায়। যা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানো সম্ভব হলে এসব অতিরিক্ত চর্বি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে

যাদের চিৎ হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস আছে তাদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা অনেক কম। তাই ডাক্তাররা বলে থাকেন পুরোপুরি নাক ডাকার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে পাশ ফিরে শোবার অভ্যাস করুন।

উচ্চ চর্বিযুক্ত দুধের তৈরি খাবার অথবা সয়া দুধে তৈরি খাবার গলার ভেতরে মিউকাস তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে যার কারণে এসব খাদ্যদ্রব্যও নাক ডাকার পেছনে ভূমিকা রাখতেই পারে।

ধূমপানের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মাংসপেশিগুলো ঢিলে হয়ে পড়ে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টি করে। যা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসেবেও কাজ করে। তাই ধূমপান বন্ধ করা হতে পারে নাক ডাকা থেকে রেহাই পাওয়ার একটি বড় উদ্যোগ।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন