ফুসফুস ভালো রাখবে যেসব খাবার

  01-05-2021 11:44PM

পিএনএস ডেস্ক:শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ফুসফুস। করোনাকালে খাদ্য তালিকায় খাদ্য উপাদানের সঠিক উপস্থিতি ফুসফুস ভালো রাখতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক ও সচল রাখতে সাহায্য করে থাকে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে। ফুসফুসে সংক্রমণ হলে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট, যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই ফুসফুসকে সুস্থ রাখা জরুরি। ধূমপান না করা, ব্যায়াম করা, বায়ুদূষণ এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি ফসুফুসকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তবে এর পাশাপাশি কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাদ্য তালিকায় থাকলে ফুসফুস ভালো থাকে। ফুসফুস সুস্থ রাখার বিষয়ে খাবারের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

পুষ্টিবিদদের মতে, শাক-সবজি, আলু, পটল, কুমড়া-গাজর বেশি করে খান। খোসা না ছাড়িয়ে তরকারি করে খেতে পারলে আরো ভালো। এছাড়া পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের জন্য ভালো। তাই সবুজ শাক, টমেটো, বিট, আলু, কলাখান নিয়মিত। আর প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ডাল, ছোলা ইত্যাদি।

ফুসফুসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে। এছাড়াও কয়েকটি বিশেষ খাবার রয়েছে যা ফুসফুসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আপেল- আপেল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় বলা হয়, সপ্তাহে যারা দুটি থেকে পাঁচটি আপেল খায়, তাদের অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকি ৩২ ভাগ কমে যায়। আপেলের মধ্যে রয়েছে ফ্লাবোনয়েড। এটি শ্বাস নেয়ার পথকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, ফুসফুসকে ভালো রাখে।

গাজর- গাজর বেটাক্যারোটিন এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জন্য প্রসিদ্ধ। গবেষণায় বলা হয়, বেটাক্যারোটিন শরীরেও গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। ফুসফুস ভালো রাখতে গাজর এশটি চমৎকার খাবার।

কফি ও গ্রিনটি- কতটুকু পরিমাণ কফি পান শরীরের জন্য ভালো- এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে কফি ও গ্রিনটি কিন্তু ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে ব্ল্যাককফি। কফিপানের চারঘণ্টা পর শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্রম আরো ভালো হয়। তাই ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে এই কফিপান করতে পারেন।

রসুন- রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামেটোরি উপাদান। দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন ভাইরাস জনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রসুন অ্যাজমা প্রতিরোধ করে, প্রতিরোধ করে ফুসফুসের ক্যানসারও।

ভিটামিন-ডি- ভিটামিন-ডি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে ফুসফুসের রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। সূর্যের আলো এর অন্যতম উৎস্য। পাশাপাশি দুধ, ডিম, দই, মাছ, মাংস ইত্যাদি থেকেও পাওয়া যায় ভিটামিন-ডি।

মশলা- বেশ কিছু মশলা আছে যেগুলো ফুসফুসের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে, প্রদাহ জনিত সমস্যা রোধে ও নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যেমন কাঁচাহলুদ এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। বায়ুবাহিত দূষিত এলাকা প্রভাব থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে। কফ ও অ্যাজমা সমস্যা সমাধানে কার্যকর। পেঁয়াজ, রসুন ও আদা এন্টিইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে। নানা সংক্রমণ থেকে ফুসফুসকে রক্ষা, ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন উন্নত ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কালোজিরা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ও শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে কার্যকর।

গুড় ও মধু- আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, গুড় ফুসফুসকে উষ্ণ রাখতে ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। আর মধু ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে কার্যকর পাশাপাশি এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে।

অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডোর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এর মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী গুণ। এটি ফ্রিরেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। ফুসফুসকে ভালো রাখতে বেশ উপকারি খাবার অ্যাভোকাডো।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন