উরি হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার জোরালো প্রমাণ নেই ভারতের কাছে

  27-02-2017 02:20PM

পিএনএস ডেস্ক: ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে হামলায় সহায়তা করার অভিযোগে আটক আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) তাদের নামে খোলা ফাইল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর ফলে উরি হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ত থাকার নয়াদিল্লির দাবি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোপূর্বে দাবি করেছিল, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর উরি হামলা যে পাকিস্তান থেকে হয়েছিল, তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে। ওই হামলায় অন্তত ১৮ সৈন্য নিহত হয়েছিল।
ওই হামলার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানি হাই কমিশনারকে তলব করে তাকে জানায়, ভারতে প্রবেশ করে যে চারজন উরির ভারতীয় ব্রিগেড হেডকোয়াটার্সে হামলা করেছিল, তাদেরকে সহায়তাকারী দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই রোববার জানায়, ফয়সাল হোসেন আওয়ান ও আহসান খুরশিদ নামের ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।
উরি হামলার মাত্র তিন দিন পর ওই দু’জনকে আটক করা হয়েছিল। এখন তাদেরকে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যকার ‘শুভেচ্ছা চুক্তির’ আলোকে পাকিস্তানের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রমকারী ভারতীয় সৈন্য চান্দু বুলবুল চৌহানকে ফেরত দিয়েছিল পাকিস্তান।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এনআইএর একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করে এআইএন জানিয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ান ও খুরশিদ জানিয়েছেন, জৈশ-ই-মোহাম্মদ কমান্ডাররা তাদের দায়িত্ব দিয়েছিল তাদের চার ক্যাডারকে সীমান্ত পার করে ভারতে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে।

১৯৪৬ সালে বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই কাশ্মির ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত রয়েছে। উভয় দেশই উপত্যকাটির পূর্ণ কর্তৃত্ব দাবি করে থাকে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তবে ১৯৮৯ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। এতে লাখ লাখ লোক নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক।

তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলায় ২০১৬ সালের ৮ জুলাই এক জনপ্রিয় স্বাধীনতাকামী নিহত হলে কাশ্মিরে প্রবল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৯০ জন নিহত হয়। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন