যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আশিয়ানের সমর্থন চায় উ. কোরিয়া

  28-04-2017 01:30AM

পিএনএস ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন পরমাণু ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে সতর্ক করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সমর্থন চাইল উত্তর কোরিয়া। এএফপির বরাতে এ খবর দিয়েছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়ার জেরে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে পিয়ংইয়ং।

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংগঠন আশিয়ানের সাধারণ সম্পাদককে এ কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং-হো।

তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ১০টি আশিয়ান রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আসন্ন পরমাণু ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে সতর্ক করা হোক। একই সঙ্গে ওই দশ সদস্য রাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।

সম্প্রতি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর কোরিয়ার পাঁচটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিয়ংইয়ংয়ের ষষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাবনা আঁচ করে কোরিয়া উপদ্বীপের উদ্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গড়া যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসনসহ বিশাল নৌবহর পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। বর্তমানে তার অবস্থান ওকিনাওয়ার পূর্বে ফিলিপাইনের সাগরে।

ইউএস প্যাসিফিক কম্যান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস জানিয়েছেন, ‘মার্কিন নৌবহরের বর্তমান অবস্থান উত্তর কোরিয়ায় আঘাত হানার জন্য আদর্শ। এখন শুধুমাত্র নির্দেশের অপেক্ষা।’

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ম্যানিলায় আশিয়ান রাষ্ট্রজোটের বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনায় বসবেন সদস্যরা। মনে করা হচ্ছে, সেই বৈঠক লক্ষ্য করেই আশিয়ানের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং।

যদিও আশিয়ান বৈঠক সম্ভাব্য আলোচনার বিষয় সম্পর্কে চলতি সপ্তাহে যে খসড়া পাওয়া গেছে, তাতে কোরীয় উপদ্বীপ সম্পর্কে আলোচনার জায়গাটি এখনো শূন্য রয়েছে। অর্থাৎ এ সম্পর্কে কী বক্তব্য পেশ করা হবে, তা এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়নি।

উল্লেখ্য, লাওস ও কম্বোডিয়ার মতো একাধিক আশিয়ান সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কুয়ালালামপুরে কিম জং-উনের সৎ ভাই কিম জং-ন্যামের হত্যার পরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে।

আশিয়ান সাধারণ সম্পাদককে লেখা চিঠিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সকলেই জানে, পরমাণু আঘাত হানার ব্যবস্থা করার মানে যে কোনো সময় কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এই ধরনের সামরিক মহড়া কোনো মতেই নিরাপত্তার জন্য হতে পারে না।’

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন