পিএনএস ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এমন এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য দৌড়াচ্ছেন যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। তিনি বলছেন যে, তার দেশের উপর হামলা প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।
বিপদজনক সঙ্কট নিরসনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যদি কখনো কোনো আলোচনা হয় সেজন্য এখানে কিমের জন্য কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হলো।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পরাস্ত না করার গ্যারান্টি
চলতি সপ্তাহে কিমের ওপর ট্রাম্পের উত্তেজনাপূর্ণ কথার আক্রমণের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, তাদের প্রশাসন একটি দেশের শাসন-ব্যবস্থা পরিবর্তন করার জন্য এই মুহূর্তে অনুকূলে নেই এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র প্রোগ্রাম থামাতে একটি কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলেন।
কিম ইরাকের মতো দেশকে উদাহরণ হিসবে দেখছেন; যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃ সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করা হয়েছিল এবং বিশ্বাস করেন যে তার দেশের জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে পারমাণবিক উচ্চাভিলাষের মাধ্যমে তার শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা।
এক্ষেত্রে, পারমাণবিক অস্ত্র হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী দরকষাকষির অস্ত্র।
পারমাণবিক অস্ত্র রাখা
একজন গোপন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ করেছে; যা তার ক্ষেপণাস্ত্রের ভিতরে এটি সহজেই ফিট হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তাদের তৈরি পারমাণবিক অস্ত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।যা যুদ্ধক্ষেত্রের সফলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করা হয়।
তার পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও দেশটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল শহরের দিকে মুখ করে রকেট ও আর্টিলারি তাক করে রেখেছেন। চলতি বছর উত্তর কোরিয়া প্রায় এক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া বহুবার বলেছে যে, তার পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করার কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক শক্তি হিসাবে মেনে নেয়নি। কিন্তু কিমের দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জার আলোকে আমেরিকাকে এই বাস্তবতা গ্রহণ করতে হবে।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া
২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়ার প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার পর থেকে জাতিসংঘ দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে; যাতে দেশটি তাদের অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদিত হয়। এতে কয়লা, লোহা, আকরিক লোহা, সীসা ও সীফুড রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে বলে উত্তর কোরিয়া অভিযুক্ত করেছে।
কিম তার দেশকে আধুনিকায়ন এবং নয় বছরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তার অর্থনীতিতে উন্নত অবস্থায় পরিচালিত হয়েছে।
সূত্র: ইউএস টুডে
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জং উনে চাওয়া
13-08-2017 06:30AM