রোহিঙ্গা ইস্যুতে মহাসচিবের ব্রিফিং দাবি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৭ সদস্যের

  23-09-2017 11:26AM


পিএনএস ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমার পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাঁর কাছে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং দাবি করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অর্ধেক সদস্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, বৃটেন, ফ্রান্স, মিশর, সেনেগাল ও কাজাখস্তান। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের এসব সদস্য রাষ্ট্র জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাঁর প্রতি আহ্বান জানান, আগামী সপ্তাহে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি যেন আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার বিষয়ে ব্রিফ করেন। গুতেরাঁ এরই মধ্যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতাকে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সেপ্টেম্বরে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছে ইথিওপিয়া। তারা যেন আগামী সপ্তাহের অধিবেশনে মহাচিবের ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে এমন আহ্বান জানিয়েছে ওই সদস্য দেশগুলো। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, ২৫ শে আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর কমপক্ষে চার লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে সরাসরি এ বিষয়ে কোনো কথা না বললেও তার হয়ে বুধবার বক্তব্য রেখেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চাইছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যেন শক্তিশালী ও দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এই সহিংসতা বন্ধে। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর থেকে এ ইস্যুতে দু’দফা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে নিরাপডত্তা পরিষদ। প্রথম বৈঠকের বিষয়ে কোনো বিবৃতি বা বক্তব্য দেয়া না হলেও দ্বিতীয় বৈঠকের পর একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে পরিষদ। তাতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে নিন্দা জানানো হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। ওদিকে নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকরা বলছেন, যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বিবেচনা করতে পারে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে সম্মত না-ও হতে পারে চীন ও রাশিয়া। কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে হলে তাদের সম্মতি প্রয়োজন।

তারা যদি মিয়ানমার বা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে আনীত কোনো প্রস্তাবে ভেটো দেয় তাহলে তা বাতিল হয়ে যাবে। নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব পাস হতে হলে কমপক্ষে ৯টি ভোট প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ফ্রান্সের। এরা হলো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। এর কোনো দেশ কোনো প্রস্তাবে ভেটো দিলে তার কার্যকারিতা থাকে না। এ জন্যই চীন ও রাশিয়াকে হাতে রাখতে আগে থেকেই কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করে মিয়ানমার। এ খবর এরই মধ্যে মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। জাতিসংঘ যাতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারে সেজন্য তাদেরকে রাজি করাতে সুচি সরকার আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে। ফলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদ কতটা কঠোর বা আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে কিনা তা এখন দেখার বিষয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন