ভারত ওবিওআরে যোগ দিলে ‘সিপিইসি’র নাম বদলাতে পারে চীন

  24-11-2017 11:31AM


পিএনএস ডেস্ক: চীনের উচ্চাভিলাষী ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবিওআর) উদ্যোগে ভারত যোগ দিলে ইসলামাবাদের জন্য কোনো ধরনের উদ্বেগ না ঘটিয়েই ‘পাকিস্তান-চীন ইকনমিক করিডোর (সিপিইসি)’র নাম বদলানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বেইজিং।

এ বিষয়ে ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লু ঝাওহুইয়ের এক বিবৃতির ব্যাপারে বৃহস্পতিবার কথা বলেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। লু সম্প্রতি বলেছেন, ভারতীয় উদ্বেগ দূর করার জন্য সিপিইসির নাম বদলাতে প্রস্তুত বেইজিং।

লুর বিবৃতি অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান কোনোটাই করেনি চীনের মন্ত্রণালয়। ফলে, লু যাতে ইস্যুটি নিয়ে নয়া দিল্লির সাথে আলোচনা করেন বেইজিং তা চাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি যাতে ইসলামাবাদের জন্য কোনোভাবেই উদ্বেগের কারণ না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

গত সপ্তাহে এক বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন সিপিইসির নাম বদলাতে পারে, ভারতের উদ্বেগ দূর করতে জম্মু ও কাশ্মীর, নাথু লা পাস কিংবা নেপাল দিয়ে বিকল্প করিডোর নির্মাণ করতে পারে।

এর বিনিময়ে ভারত যাতে ওবিওআরে যোগ দেয়, চীন তা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।

চীনের প্রকল্পটি পুরোপুরি সফলতার জন্য ভারতকে এতে সামিল করা খুবই দরকার। অবশ্য নেপাল ও মায়ানমারে চীনের বিপুল বিনিয়োগের কারণে ভারত চাপে পড়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ওবিওআরে যোগ দিতে রাজি হচ্ছে না।

লু প্রকাশ্যে দুবার সিপিইসির নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা বলায় মনে হচ্ছে, তিনি বেইজিংয়ের নির্দেশনাতেই কাজটি করেছেন। এটি তার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি নয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিপিইসি একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ।

এতে আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব বিরোধের কোনো বিষয় নেই। আর, কাশ্মীর ইস্যুতে চীন ও পাকিস্তানের অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন এতে হবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিবৃতিতে পাকিস্তানের উল্লেখ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বেইজং চাচ্ছে না পাকিস্তানকে কোনোভাবে বিচলিত করতে।

নয়া দিল্লি মনে করছে, প্রকল্পটির মধ্যে পাকিস্তানের নাম যুক্ত করে ইসলামাবাদের পক্ষ নিয়েছে বেইজিং। প্রকল্পটি পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে গেছে।

এদিকে ওবিওআরে ভারত যোগ না দেয়ায় প্রকল্পটির অগ্রগতিতে সমস্যা হচ্ছে।

গত মে মাসে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ওবিওআর সম্মেলন বয়কট করে ভারত। অথচ বেশির ভাগ পাশ্চাত্য দেশ এতে অংশ নেয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত সরকারি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল।

চীনা ভাষায় প্রকাশিত মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীন সব প্রতিবেশীর সাথে কানেকটিভিটি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধি জোরদার করতে প্রস্তুত।

এতে বলা হয়, সিপিইসি সহযোগিতার একটি কাঠামো। এতে সব ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চীন ও পাকিস্তান উভয়ের স্বার্থ রয়েছে এতে। এই প্রকল্প আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বাড়াবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন