রাম-রহিম আশ্রমে থেকে আরও ১৫ মহিলাকে উদ্ধার করল পুলিশ

  18-02-2018 05:21PM

পিএনএস ডেস্ক : খোদ সল্টলেকে রামরহিম! আশ্রমের আড়ালে মহিলাদের জোর করে আটকে রাখা, সেক্স-র‍্যাকেট, ধর্ষণ, অন্যত্র পাচার করার মতো অভিযোগ। ভয়ঙ্কর এই অভিযোগের ভিত্তিতে সল্টলেক সি এল ব্লকের একটি ধর্মীয় সংস্থার অফিস সিল করল বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। আদালতের অনুমতি নিয়ে সি এল ব্লকের আধ্যাত্মিক ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

ধর্মীয় ওই সংস্থার অফিস থেকে ১৫ জন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চদ্রা নামে একজন মহিলাকে (যিনি সংস্থায় ‘মাতাজি’ বলে পরিচিতি ছিলেন) গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে দু’জনকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি দত্তাবাদের এক তরুণী অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে তাঁর বোনকে আধ্যাত্মিক শিক্ষাদানের জন্য এই সংস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সে আচমকাই উধাও হয়ে গিয়েছে। তরুণীর পরিবার এবিষয়ে সংস্থার আধিকারিকদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও সদুত্তর পায়নি। বারবার বলা হয়েছে, ওই তরুণী ভিন রাজ্যে ধর্মীয় শিক্ষা প্রচারের কাজে গিয়েছে।

কিন্তু পরিবারের অনুমান, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে ভিন রাজ্যে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী পরিবারের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, স্বঘোষিত সেই বাবা তাঁদের বাড়ির মেয়েকে একাধিকবার শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। এই আশ্রমে স্বঘোষিত বাবা নিয়মিত এই কাজ করে বলে অভিযোগ।

শুধু ওই তরুণীর পরিবারই নয়, এই আশ্রমের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মহিলাদের জোর করে আটকে রেখে সেক্স-র‍্যাকেট চালানো হয় বলেও অভিযোগ। একাধিক এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে। গোপনে এই আশ্রমে হানা দেয় পুলিশ।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন