হিজাব নিয়ে নারী এমপির মন্তব্যে কুয়েতজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে

  17-04-2018 10:14AM


পিএনএস ডেস্ক: ‘আমার হিজাব.... আমার জিবনকে আরো সুন্দর করে’ এমন স্লোগানে ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের দেয়া একটি বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন নিয়ে দেশটি একমাত্রী নারী এমপির বক্তব্যে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর আরব নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাস্তার পাশে বিলবোর্ডে হিজাবের বিজ্ঞাপন দেখে টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কুয়েতের ৫০ সদস্য বিশিষ্ট সংসদের একমাত্র নারী সদস্য সাফা আল হাসেম।

তিনি এটাকে ‘অদ্ভুত’ বলে বর্ণনা করেন। হিজাবের বদলে জাতীয় ঐক্যের বিজ্ঞাপন দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যদিও কেউ হিজাব পরতে চাইলে পরতে পারেন বলেও মনে করেন তিনি।

মন্ত্রনালয়ের বিজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, ‘আমার হিজাব.... আমার জিবনকে আরো সুন্দর করে’।

সাফা আল হাসেম আরো বলেন, কুয়েতের মত একটি দেশ যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা বিদ্যমান সেখানে হিজাবের বিজ্ঞাপন অগ্রহণযোগ্য।

তার এই টুইটের পর কুয়েতজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামিক সংগঠনগুলো ও রক্ষণশীল সংসদ সদস্যরা তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।

তারা বলেন ইসলাম হল কুয়েতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম তাই হিজাব বাধ্যতামুলক হিসেবেই থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসালভেনিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশুনা করা ৫৩ বছর বয়সী সাফা আল হাসেম ২০১২ সাল থেকে এমপির দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সময় বির্তকিত মন্তব্য করে
মাসিলিয়া অ্যালি: আমার বোন প্রথম যখন হিজাব পরিধান করেছিল, তখন তার হাই স্কুলের সবচেয়ে ভাল বন্ধুটি তিন বছর তার সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

এর দুই সপ্তাহ পর, বাসে একজন মহিলা আমার এক মুসলিম বন্ধুর কাছে এসে চিৎকার করে দাবি করলো যে, তাকে তার হিজাব খুলে ফেলতে হবে নতুবা তিনি যেখান থেকে এসেছেন তাকে সেখানে ফিরে যেতে হবে।

এক মাস পরে, আমার আরেক বন্ধুকে হিজাবের কারণে তাকে একটি চাকরির সাক্ষাত্কার থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। যদিও চাকরিদাতার ইমেইলে বলা হয়েছিল যে তারা ‘তার যোগ্যতায় খুবই প্রভাবিত’ হয়েছিল।

তারও কয়েক মাস পর মসজিদে একজন ভদ্রমহিলা আমাকে জানায়, তিনি অফিস শেষ করে বাড়ির দিকে হাঁটতে ভয় পান কারণ প্রতিটি রাতে এক দল যুবক বাস স্টপ থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত তাকে অনুসরণ করে এবং তারা তার হিজাব খুলে ফেলার হুমকি দেয়।

তাই যখন আমি হিজাব পরিধান করার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন তুমি এটা পরার সিদ্ধান্ত নিলে, মাসিলিয়া?’

এই জিজ্ঞাসার জবাবে আমার মাথায় খুবই স্বতন্ত্র একটি উত্তর ছিল আর তা হচ্ছে-‘আল্লাহ’।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন